পূর্বতন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরও দুটি ধারা জামিনযোগ্য করে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে সরকার পূর্বতন আইনের অজামিনযোগ্য আটটি ধারাকে জামিনযোগ্য ও কিছু ধারায় শাস্তি কমানোর কথা বলেছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়, তখন সংবাদমাধ্যমের অংশীজনসহ দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা তা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি।
সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ডিজিটাল মাধ্যমের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা ডিএসএ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ ও ভিন্নমত দমনের কাজেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দেওয়া ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ১টি মামলা হয়েছে। এ আইনে কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি।