ডিএই-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সম্পর্কিত দুইটি বৃহৎ প্রকল্পে ‘পুকুরচুরি’র যে চিত্র বুধবার সমকালের এক প্রতিবেদনে উঠিয়া আসিয়াছে, উহা দুর্ভাগ্যজনক। প্রকল্প দুইটি হইল– ২০১০ সালে গৃহীত ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন’ শীর্ষক ১০ বৎসর মেয়াদি প্রকল্প এবং ২০২০-২১ অর্থবৎসরে গৃহীত পাঁচ বৎসর মেয়াদি ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প।
সরকার এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার যন্ত্র ২৫ হইতে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দরে নির্দিষ্ট এলাকার নির্বাচিত কৃষকদের সরবরাহ করিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু সমকালের অনুসন্ধানে ধরা পড়িয়াছে, প্রকল্প দুইটি বাস্তবায়ন করিতে গিয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভর্তুকি যন্ত্রের জন্য ঘুষ, যন্ত্রের মূল্য বৃদ্ধি করিয়া কৃষকের নিকট হইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ভুয়া উপকারভোগী তৈয়ার করিয়া পুরো যন্ত্রের টাকা আত্মসাৎ, মানহীন যন্ত্র সরবরাহ, এক যন্ত্র কয়েকবার বিক্রয় করিয়া প্রতিবার ভর্তুকি গ্রহণের অনুরূপ বিবিধ অভিযোগের জন্ম দিয়াছেন। ফলে সন্দেহ সৃষ্টি হইয়াছে, ইতোমধ্যে প্রকল্পসমূহের উদ্দেশ্য– ফসল উৎপাদনে ব্যয় ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে কৃষকের মুনাফা নিশ্চিতকরণ যতটুকু অর্জিত হইয়াছে; সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পকেট উহার অপেক্ষা অধিক পরিমাণে স্ফীত হইয়াছে!