সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে প্রত্যাশা

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:৩০

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করিবার পর উহা ইতোমধ্যে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করিয়াছে বলিয়া মঙ্গলবার সমকাল জানাইয়াছে। প্রতিবেদন অনুসারে, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট ব্যবহার করিয়া সোমবার পর্যন্ত ছয় সহস্রাধিক গ্রাহক প্রথম কিস্তি পরিশোধ করিয়াছেন। ফলে পেনশন কর্তৃপক্ষের হিসাবে এই সময়ে মোট চাঁদা জমা হইয়াছে ৩ কোটি টাকার অধিক। উপরন্তু অর্থ পরিশোধ করেননি কিন্তু নিবন্ধন করিয়াছেন এমন গ্রাহকের সংখ্যা ৫০ সহস্র অতিক্রম করিয়াছে। আমরা মনে করি, এই স্কিম বিষয়ে জনগণের প্রবল আগ্রহ প্রত্যাশিত। কারণ ইহা বিশেষত বেসরকারি খাতে এবং স্বকর্মে নিয়োজিত মানুষদের জন্য আশার আলোস্বরূপ, বিশেষত যাহারা একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর চরম আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়িবার শঙ্কায় থাকেন। এই স্কিম এমন সময়ে প্রবর্তিত হইয়াছে, যখন দুঃখজনক হইলেও বিবিধ কারণে আমাদের চিরন্তন সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধসমূহ দ্রুত ভাঙিয়া পড়িতেছে; বিশেষত বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব সম্পর্কিত ধারণা অনেক ক্ষেত্রেই লোপ পাইতে চলিয়াছে। পেনশন স্কিমের পূর্ণ ও যথাযথ বাস্তবায়ন নিসঃন্দেহে ঐ সকল অসহায় পিতা-মাতার মনে বল ও ভরসা জোগাইবে।


অনস্বীকার্য, প্রাথমিক অবস্থায় গ্রাহক প্রদত্ত অর্থের নিরাপত্তা এবং মেয়াদোত্তর গ্রাহকের প্রাপ্য বাড়তি অর্থের সংস্থানসহ কতিপয় বিষয়ে অস্পষ্টতা ছিল। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ হইতে এই সকল বিষয়ে স্ফটিকস্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রদান করা হইয়াছে। আমরা জানি, একটা স্বতন্ত্র আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয় পরিচালনা করিতেছে। সেই কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জনগণের দেওয়া অর্থ সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে লাভজনক খাতে বিনিয়োগের জন্য সর্বজনীন পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনা নামে পৃথক একটি বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করিয়াছে। অধিকন্তু এই তহবিল পরিচালনার ব্যয় সম্পূর্ণরূপে সরকার বহন করিবে এবং এখানকার অর্থ অন্য কোনো সরকারি খাতে ব্যয় করা হইবে না বলিয়া সরকার নিশ্চিত করিয়াছে। স্বতন্ত্র অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচালিত হইবে বলিয়া ইহাতে দুর্নীতি ও হয়রানির সুযোগ বহুলাংশেই হ্রাস পাইবে– এই কথাও বলা যায়। অতএব, এই আশাবাদ অমূলক নহে, ক্রমশ স্কিমটির জনপ্রিয়তা সর্বব্যাপী হইবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও