খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রয় হইতেছে ১৭০ টাকায়। অর্থাৎ একটা ডিমের দাম ১৪ টাকারও অধিক। মাছ-মাংসের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ আমিষের চাহিদা মিটাইতে শুধু ডিমের উপর নির্ভরশীল হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু ডিমের মূল্য উর্ধ্বমুখী হওয়ায় তাহারা আমিষ হইতে বঞ্চিত হইতেছে: সংসারের ব্য়য় নির্বাহেও রীতিমতো হিমশিম খাইতেছে। প্রাণিখাদ্যের দর কিছুটা বাড়িবার কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়াছে, সত্য। তাই বলিয়া যেইভাবে ডিমের মূল্য ক্রমবর্ধনশীল, তাহা অযৌক্তিক। ইহার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ী ও খামারিরা একে অপরকে দায়ী করিতেছেন।
রবিবার সমকালে প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্য অনুযায়ী খামারিদের দাবি, খামার পর্যায়ে প্রতিটা ডিম বিক্রয় হইতেছে ১১ টাকা ৫০ পয়সায়। কাজেই খুচরা বাজারে ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১৩ টাকা হওয়া উচিত। তবে খামারিদের এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলিয়াছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাহারা বলিয়াছেন, খামার হইতে প্রতিটা ডিম ক্রয় করিতে ব্যয় হইতেছে ১২ টাকা ২০ পয়সা হইতে ১২ টাকা ৪০ পয়সা।