বাংলাদেশের কোনো প্রয়োজন নেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
স্বাধীনতার প্রায় ৫২ বছর পর এসেও স্বাধীনতাকে নতুন করে খুঁজতে চাইছি আমরা। দেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষ যার যার মতো করেই হয়তো ভাবছে স্বাধীনতার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রশ্নে স্বাধীনতার চেতনা, সার্বভৌম ভাবনা এবং গর্ব করার স্থান একটাই। যার নাম বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং অসংখ্য চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে আজ আমরা বর্তমান বাংলাদেশকে পেয়েছি। অনেক ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তেমনি এক ভুলের নাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। বিশ্বের কোনো সফল গণতান্ত্রিক দেশে নেই এ ব্যবস্থা। তবে কেন থাকবে বাংলাদেশে?
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মোটেই প্রয়োজন নেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই অবাধ ও পক্ষপাতমুক্ত নির্বাচন পরিচালনার পক্ষে যথেষ্ট। বাংলাদেশ বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনের শক্তি বৃদ্ধি করে অবাধ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় যদি নির্বাচিত সরকারের শাসনামলে অবাধ ভোট হতে পারে, তবে বাংলাদেশেও একইরকমভাবে নির্বাচন সম্ভব।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী সরকার ও বিরোধী পক্ষের সবার ভোটে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ভোটে প্রতারণা প্রতিরোধ অনেক সহজ। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মহলের চোখের সামনে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করা মোটেই সম্ভব নয়। ভোট হচ্ছে গণতান্ত্রিক দেশের সবচেয়ে বড় উৎসব। সেই উৎসবে অংশ নেওয়া সব নাগরিকের কর্তব্য।