জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে
বাংলাদেশে রাজনীতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, দল-মত-নির্বিশেষে তাঁদের অনেকের মধ্যেই একটি সাধারণ অভ্যাস আমরা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছি। সেই অভ্যাসটি আর কিছুই নয়, তাঁরা খুব বেশি কথা বলে ফেলেন। আর বেশি কথা বলতে গিয়ে যেমন অপ্রয়োজনীয়, অশোভন ও মিথ্যার আশ্রয়ও নিতে হয়। প্রায়ই কথার মধ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য এসে যায়।
রাজনীতিবিদদের তো কথা বলতেই হবে, হোক না মাঠে-ময়দানে বা কোনো অডিটরিয়ামে; কিন্তু এভাবে? অবশ্য রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিতে জড়িত ব্যক্তি—এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্যটা আমাদের বুঝতে হবে।
রাজনীতি যাঁরাই করুন না কেন, রাজনীতির মঞ্চে বা মাঠে-ময়দানে-মিছিলে বক্তব্য রাখার সময় তাঁদের অবশ্যই বিষয়বস্তুর প্রয়োজনীয়তা, ধরন, শব্দ চয়ন ও মানহানি বা শালীনতার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তাঁদের প্রতিটি কথাই কিন্তু সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছে যায়। ছোটবেলায় জানতাম যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সমাজের তথা দেশের আদর্শ, অন্যরা তাঁদের অনুসরণ করে।