ন্যাটো সম্মেলন ও ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ
ইউক্রেন যুদ্ধ বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সবার চোখ এখন ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে। লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে অনুষ্ঠিত দু’দিনের এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো, বাইডেন ইতোমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পেয়েছেন। তুরস্কের সমর্থনে ন্যাটোতে যুক্ত হচ্ছে সুইডেন। ভিলনিয়াসে এরদোয়ানের সঙ্গে বাইডেনের একের পর এক বৈঠকের আগে তুরস্কের এই অবস্থান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা অনিবার্যভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রেও ন্যাটোর ঐকমত্য তৈরিতে তাঁর হাতকে আরও শক্তিশালী করবে।
জো বাইডেন বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি ইউরো-আটলান্টিক এলাকায় প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তুরস্কের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’ এরদোয়ান তাঁর দেশের জন্য এমন চুক্তি করেছেন, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তুরস্ক সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ও ব্রিকসের বাইরে গিয়ে নতুন যে গতিপথ ধরেছে, সেটি কৃষ্ণ সাগরে শক্তির ভারসাম্যকে প্রভাবিত করবে, যা ভবিষ্যতে রুশ সামরিক হামলার বিষয়কে সংকটে ফেলবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ইউক্রেন সংকট
- ন্যাটো সম্মেলন
- জাতিসংঘ