কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পুঁজির শোষণকে একচেটিয়া করে তুলবে

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৬

করোনা-উত্তর অর্থনৈতিক মন্দা, ইউক্রেন যুদ্ধ, মার্কিন-চীন উত্তেজনা ইত্যাদির মতোই গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আলোচনার কেন্দ্রে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। এর প্রায়োগিক ফলাফল, উপকারিতা, ক্ষতিকর অনুষঙ্গ, দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের আলোচনাও এখন যথেষ্টই মুখর। পরিবর্তনবাদীদের মতে, প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ফলাফলকে পরিপূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করতে না পারলে এ ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়াটা প্রায় অনিবার্য।



অন্যদিকে নিজেদের যাঁরা মানবিক যুক্তিবাদী বলে দাবি করেন, তাঁদের মত হচ্ছে, এআইকে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণকাঠামোর আওতায় ব্যবহার করতে না পারলে পরিণামে তা পুরো মানবজাতির বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও সৃজনশীলতাকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারে। এর চেয়েও বড় কথা, এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে পুঁজির একচেটিয়াত্বকে আরও প্রবল করে তোলার মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্যকে প্রকট করে তুলতে পারে, যার সবচেয়ে বড় অমানবিক শিকারে পরিণত হতে পারে বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলো।


উপরিউক্ত এ ত্রিমাত্রিক পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানবজাতির দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যবহারকাঠামো কী হবে, সে বিষয়টি নিয়ে যেকোনো ধরনের আবেগ ও আসক্তির ঊর্ধ্বে উঠে সম্পূর্ণ নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে মনে করি। উল্লেখ্য, ইতালি এবং আরও বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যে এআইর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।


অপরদিকে বিরাটসংখ্যক সহজবাদী মানুষ ও নিরবচ্ছিন্ন মুনাফা সন্ধানী উদ্যোক্তা ইতিমধ্যে একে প্রযুক্তির বৈপ্লবিক রূপান্তর বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর রাজনৈতিক অর্থনীতির বিশ্লেষকেরা ইতিমধ্যে দেখিয়েছেন যে বিশ্বের কেন্দ্রে থেকে এআই প্রযুক্তির উৎপাদন ও বণ্টনকে যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করছেন, এর মাধ্যমে তাঁরা বস্তুত তাঁদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, প্রয়োজন ও ব্যবসায়িক স্বার্থকেই সমুন্নত রাখার চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতেও হয়তো তাঁরা সেটাই করবেন।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অন্য একটি আলোচনা এরূপ যে এর সম্প্রসারিত ব্যবহারের ফলে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে, যা খুবই অগভীর ও অসম্পূর্ণ আলোচনা। আসলে এআইর বর্ধিত ব্যবহারজনিত বেকারত্বের বিষয়টি তেমন বড় কোনো সমস্যা নয়, যেমন বড় বলে আপাতদৃষ্টিতে এটিকে মনে করা হচ্ছে। এর ব্যাপকভিত্তিক প্রয়োগের ফলে সীমিতসংখ্যক মানুষের বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা হয়তো আছে। তবে এর ব্যবহার-প্রক্রিয়ায় নতুন করে বহু লোকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও