আবেগ নয়, ম্যাচ জিততে হয় স্কিলে
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিন তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেমন রোমাঞ্চকর জয় রয়েছে, তেমনি টি২০ বিশ্বকাপে হৃদয় ভাঙার গল্পও লেখা রয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা করছেন টাইগার প্রধান কোচ। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দিয়ে দল সাজাতে চান তিনি। তবে বিশ্বকাপ নিয়ে লাগামহীন স্বপ্ন দেখছেন না তিনি। কারণ, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ওপরে এখন ছয়টি দল রয়েছে। অবশ্য চন্ডিকা শুধু বিশ্বকাপ নিয়ে নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্থায়ীভাবে শক্তিশালী একটি কাঠামো তৈরিতে কাজ করছেন। টি২০ সংস্করণে উন্নতি করতে নিজস্ব কৌশল খুঁজছেন তিনি। জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে তাঁর সব কৌশল এবং পরিকল্পনার কথা শুনেছেন সেকান্দার আলী
দ্বিতীয় মেয়াদে কেমন লাগছে বাংলাদেশে?
হাথুরুসিংহে: এবার খুব উপভোগ করছি। কারণ, আমার অনেক কিছুই জানাশোনা রয়েছে। এ কারণে বেশ উপভোগ্য হয়েছে। এবার আমাকে গ্রহণও করা হয়েছে সাদরে।
সবাই বলছে– এবার আপনি অনেক শান্তশিষ্ট
হাথুরুসিংহে: আগেরবারের চেয়ে পাঁচ বছরের পরিণত আমি। এবার তেমন কোনো পরিবর্তনও করছি না। কারণ, তারা (ক্রিকেটার) আমাকে জানে, খেলোয়াড়রা অনেক উন্নতি করেছে এবং পুরো সিস্টেমে উন্নতি হয়েছে। এ কারণে বাড়তি কিছু করতে হয়নি। কিছু জিনিস বসাতে হয়েছে এবং পরিবেশে একটু ঝাঁকুনি দিতে হয়েছে, এই যা। সম্ভবত এ জন্যই তারা (খেলোয়াড়) মনে করছে, আমি শান্ত হয়েছি, যেটা আমি নিজেও অনুভব করছি।
বাংলাদেশে নিশ্চয়ই একটা ভিশন এবং মিশন নিয়ে এসেছেন?
হাথুরুসিংহে: ভিশন ও মিশন অনেক বড় ব্যাপার। এবার আমি দুটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছি। একটি হলো– দীর্ঘ মেয়াদে উন্নতি। আগেরবার ফলকেন্দ্রিক পরিকল্পনা ছিল। কারণ, কোচ হিসেবে তখন আমি তেমন পরিচিত ছিলাম না। আমাকে মানুষ সেভাবে জানত না। সুতরাং প্রমাণ করার একটা ব্যাপার ছিল। এবার প্রমাণ করার কিছু নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্থায়ী একটা রূপ দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। সেদিক থেকে অ্যাপ্রোচ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভালো একটি সিস্টেম দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি, যেটা করা হলে দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। আমি চলে যাওয়ার পরও কোনো কিছু বন্ধ হবে না।