সাংবাদিক রব্বানি হত্যা: খুনিদের দুঃসাহস ও পুলিশ সুপারের সাফাই
মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর সাহসের তারিফ করতে হয়। তিনি জামালপুরের বকশীগঞ্জের একটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। এ ধরনের নেতা ও জনপ্রতিনিধি দেশে অনেক আছেন। অনেকের সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বও হয়তো আছে। কিন্তু সেই দ্বন্দ্বের কারণে নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পেটোয়া বাহিনী দিয়ে একজন পেশাদার সাংবাদিককে হত্যা করানোর মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। মাহমুদুল আলম সেটা দেখিয়েছেন।
কীভাবে মাহমুদুল আলম এই দুঃসাহস দেখালেন। প্রথমত, তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতা। দ্বিতীয়ত, তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তৃতীয়ত, যেই সাংবাদিককে পেটোয়া বাহিনী দিয়ে খুন করিয়েছেন, সেই সাংবাদিকের হাতে কলম থাকলেও তাঁর মতো কোনো পেটোয়া বাহিনী নেই। কথায় বলে অসির চেয়ে মসির ক্ষমতা বেশি। কিন্তু মাহমুদুল আলমেরা যুগে যুগে প্রমাণ করেছেন অসিই ক্ষমতার উৎস।