পাহাড়ে-সমতলে জননিরাপত্তায় নজর বাড়ুক
২১ মে প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জে চরমপন্থি গ্রুপের তিন শতাধিক সদস্য অবৈধ অস্ত্রসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। চরমপন্থিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সাফল্যের জন্যই তারা নানা সময় আত্মসমর্পণ করছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিপথগামীদের সুপথে ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। চরমপন্থিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার এই সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখেÑ এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণের সুযোগও মূলত এজন্যই দেওয়া হয়। তারা যেন অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে অর্থ সংগ্রহ কিংবা অন্য কোনোভাবে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে, এজন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি সর্বাগ্রে থাকা উচিত। সিরাজগঞ্জে আত্নসমর্পণকারীরা আগে কী ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো ধারণা এখনও পাওয়া যায়নি। আমি মনে করি, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করা জরুরি। অন্তত এই সময়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংকটের কথা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে রেখে অবৈধ অস্ত্রের উৎস এবং তা কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তার পুরো তথ্যচিত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাখতে হবে।