
ইমরান বনাম পাকিস্তান সেনাবাহিনী
ইমরান খান পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার প্রতি অবিচার হচ্ছে বা হতে পারে এই আশঙ্কা ও ক্ষোভে তার সমর্থকরা সেনা সদর থেকে শুরু করে কোর কমান্ডারের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। তথাকথিত ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টেট’ পাকিস্তানের ইতিহাসে এটা এক অনন্য নজির। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং ইমরান খান আজ যে সাংঘর্ষিক অবস্থানে রয়েছে সেটা পুরো রাষ্ট্রের জন্য এক ক্রান্তিকাল বলা যেতেই পারে, ইমরান রুবিকন নদী পার হয়ে গেছেন। এখন তিনি জিতবেন বা ধ্বংস হবেন। জিতলে নিশ্চিত গণতন্ত্রের জয় হবে। পাকিস্তানের ইতিহাসে, প্রথমবার কোনো নেতা ও রাজনৈতিক শক্তির কাছে সত্যিকার অর্থে সেনাবাহিনী তথা এস্টাবলিশমেন্টের পরাজয় লেখা হবে। কিন্তু আসলে হবে কি?
বর্তমানে ইমরানের নেমেসিস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুজন ব্যক্তি। একজন সেনাপ্রধান আসিম মুনির আর অন্যজন আইএসআই-এর ডিজি জেনারেল ফয়সাল নাসের। জেনারেল মুনির এর আগে আইএসআই-এর প্রধান থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সমস্যা শুরু হয়। জেনারেল মুনিরের দাবি, তিনি ইমরান ও তার ক্যাবিনেটের লোকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করতে গেলে ইমরান রাগান্বিত হয়েছিলেন। মনে করেছিলেন, এরা তাদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক শক্তিকে অবমাননা করছেন। ইমরানের অহং ও আত্মসম্মানবোধের জন্য তা ছিল অগ্রহণযোগ্য।