কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এমপিরা ‘গালমন্দ’ শুনছেন কেন?

সমকাল সাইফুর রহমান তপন প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ০৩:০১

সংসদীয় এলাকার রাস্তাঘাট বেহালের কারণে ভোটারদের গালমন্দ শুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে খুলনার সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, রংপুরের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা ও বরিশালের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহে আলম এ অভিযোগ করেন। তাঁরা নাকি এমনও বলেছেন, গ্রামীণ ভাঙা রাস্তা মেরামতের কাজ কোনোভাবেই সংসদ সদস্যদের নয়। এটা দেখভালের পুরো এবং একক দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি); অথচ জনপ্রতিনিধি হওয়ায় ভাঙা রাস্তার জন্য তাঁদেরই জবাবদিহি করতে হচ্ছে। তাঁদের কেউ কেউ নাকি এজন্য এলাকায় যেতেও বিব্রতবোধ করছেন। (সমকাল, ৮ মে ২০২৩)।


সংবাদটা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। অভিযোগকারী তিন সংসদ সদস্যের দু’জন সরাসরি শাসক দলভুক্ত; অন্যজন কাগজে-কলমে বিরোধীদলীয় হুইপ হলেও সরকারের আশীর্বাদধন্য। অন্যদিকে দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক-সামাজিক বাস্তবতা, তাতে সংসদ সদস্যদের সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ অত্যন্ত সমীহের দৃষ্টিতে দেখে। কেউ কেউ এই এমপিদের এলাকার ‘জমিদার’ বলেও ডাকে; তাঁদের অজ্ঞাতসারে এলাকায় একটা গাছের পাতাও নাকি নড়ে না। সংশ্লিষ্ট থানা প্রায় সব ক্ষেত্রে তাঁদের সহযোগী হলেও নাকি চলে না; তাই অনেকে নিজস্ব ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গড়ে তোলেন। এর মাধ্যমে শুধু বিরোধী দল নয়, নিজ দলের ভিন্নমতাবলম্বীদেরও শায়েস্তা করেন। এমন এমপিদের গালমন্দ করার বুকের পাটা আসলে কার?


আসলে ভাঙা রাস্তার কারণে এলাকায় যেতে এমপিদের বিব্রতবোধ করার খবর শুনে কেউ যদি মনে করেন, এমপিরা নিজেদের তৈরি ফাঁদে নিজেরা পড়েছেন, তাহলেও হয়তো ভুল হবে না। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রবক্তাদের মতে, রাষ্ট্রের মসৃণ অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ– আইনসভা বা সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা ভারসাম্যমূলকভাবে ভাগ করে দিতে হয়। এই নীতি অনুসারে, সংসদের কাজ হলো আইন প্রণয়নের পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, নির্বাহী বিভাগের কাজ আইন অনুযায়ী সরকার পরিচালনা করে এবং বিচার বিভাগের কাজ সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে এর বিধানগুলো ব্যাখ্যা নিশ্চিত করা। এতে স্পষ্ট, সংসদ সদস্যদের মূল কাজ হলো, সংবিধানের নির্দেশনা মেনে আইন প্রণয়ন করা এবং জনগণের স্বার্থের জায়গা থেকে সরকারকে জবাবদিহির মধ্যে রাখা। এমপি সাহেবরা যদি সংবিধানে বর্ণিত তাঁদের কর্মক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতেন, তাহলে কোনো উন্নয়নমূলক কাজের ব্যর্থতা বা গাফিলতি নিয়ে তাঁদের কেউ দায়ী করার সুযোগই পেত না। কিন্তু আমাদের এমপি সাহেবরা তাতে রাজি নন। তাঁরা রীতিমতো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিশেষত উপজেলা পর্যায়ে সব ধরনের উন্নয়নের ভার নিজের হাতে নিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও