শেয়ারবাজারে সফলতা অর্জনের কোনো জাদুকরী সমীকরণ নেই

বলা হয়ে থাকে, শেয়ারবাজার হলো ষাঁড়-ভল্লুকের খেলা। যেনতেন দুর্বল প্রাণীর এখানে কোনো ভূমিকা নেই। তবে এ খেলাটি উপভোগ্য করে তোলেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারে ষাঁড়, না ভল্লুকÑ কে আধিপত্য বিস্তার করবে, শেষ বিচারে তা আবার নির্ভর করে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর। তবে আমাদের দেশে করোনার আগে প্রায় এক দশক ধরে অর্থনীতিতে তেজি বাঘের গর্জন থাকলেও শেয়ারবাজারে ছিল সর্বদা ভল্লুকের শ্লথগতি। আর এখনকার অর্থনীতি বিবেচনায়, মূল্যস্ফীতির চাপে ওই বাঘের গর্জন যখন ম্রিয়মাণÑ তখন এই ষাঁড়-ভল্লুকের কথা বলার আর নতুন কী? ষাঁড়ের তো কথাই নেই। আর বাজারে যে ভল্লুকের আচরণÑ তা শুধু চুপসেই যায়নি, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে।


পত্রিকার পাতা খুললেই দুদিন পর পর ওই একই সংবাদÑ শেয়ারবাজারে লেনদেনে খরা চলছে। প্রাসঙ্গিকতা, গুরুত্ব কিংবা তাৎপর্যের বিবেচনায় সংবাদের তো একটা ন্যূনতম মূল্য থাকা দরকার আছে। সূর্য পূর্বদিকে ওঠে আর পশ্চিমে অস্ত যায়Ñ এটি যেমন কোনো সংবাদ নয়; তেমনি আমাদের শেয়ারবাজারে লেনদেনের এই করুণ হাল, বহুদিনের বাস্তবতায় এর সংবাদ মূল্য হারিয়েছে। বরং সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছেÑ লেনদন যখন চাঙা হয়, তখন এটি গড়পড়তায় সংবাদ হয়ে ওঠে। সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ হঠাৎ করে শ্লথ বা বিয়ারিশ বাজারে বুল বা ষাঁড়ের আবির্ভাব বিনিয়োগকারীদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ উদ্রেক করে। কালেভদ্রে বাজারের এই যে ষাঁড়ের আচরণ, তা কি বাজারের নিজস্ব শক্তি? নাকি ষাঁড়টি যে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজাকরণ হয়, তা বিনিয়োগকারীর কাছে দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই তো বাজারে এখন আর আগের মতো কোনো সুসংবাদ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথাকথিত কোনো পদক্ষেপই বিনিয়োগকারীদের কাছে কলকে পায় না। ফলে বাজারে তৈরি হয়েছে এক দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা। অনেকের মতে, ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারদরের সর্বনিম্ন মূল্যস্তরই নাকি এই সংকটের মূল কারণ। তবে এই মতানুসারীদের মনে রাখা দরকারÑ ফ্লোর প্রাইস যেমন বাজারের গতিশীলতার জন্য ভালো নয়; তেমনি এই মুহূর্তে ফ্লোর প্রাইস ছাড়া শেয়ারবাজারে আশাতীত যে গতি, সেটি যে দুর্গতিতে পরিণত হবে নাÑ ইতিহাস এ কথা বলে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও