কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হোক

বণিক বার্তা সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:০৯

রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া খেলাপি ঋণ আদায় সম্ভব নয়, এ কথা সর্বাংশে সত্য। দেশের ব্যাংক খাতের অবস্থা নাজুক হচ্ছে এ খেলাপি ঋণের কারণে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণ না করে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতেই হবে। এক্ষেত্রে সরকারের নির্মোহ অবস্থান ভিন্ন গতি নেই। একই সঙ্গে নতুন করে খেলাপি হওয়ার পথ রুদ্ধ করতে হবে। সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা সানেম আয়োজিত অর্থনীতিবিদ সম্মেলনে ড. রেহমান সোবহান ও ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ একই কথা বলেছেন। গত তিন দশকে বাংলাদেশে অর্থনীতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক খাতেরও বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু সেই বিকাশ সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয়নি। আশ্চর্যজনক হলো ঋণ শোধ না করার পরও খেলাপিদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান, যেমন সুদ হ্রাস, মেয়াদ বৃদ্ধি প্রভৃতি সুযোগ দেয়া হচ্ছে। দেখা গেছে, এসব সুবিধা পেয়ে তারা আর ঋণ শোধ করেন না। এতে যারা সঠিকভাবে ঋণ পরিশোধ করছেন, তাদের উৎসাহে ভাটা পড়ছে, এমনকি তাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছচ্ছে। ফলে খেলাপি ঋণ যে বাড়ছে তা বলাবাহুল্য। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। বস্তুত ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার প্রবণতা এক ধরনের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। দ্রুত এ পরিস্থিতির অবসান হওয়া প্রয়োজন।


খেলাপি ঋণ না কমে বরং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়া। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বটে। এছাড়া ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলেও খেলাপি ঋণ, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বাড়ছে, যা কঠোরভাবে রোধ করা প্রয়োজন। ঋণখেলাপিদের আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধতে ব্যাংক কোম্পানি আইন কঠোর করার পাশাপাশি এর বাস্তবায়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। খেলাপি ঋণের স্ফীত চিত্র দেশের ব্যাংক খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, সর্বোপরি অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের অশনিসংকেত। খেলাপি ঋণ না কমে বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া। এছাড়া যাচাই-বাছাই ছাড়া প্রদেয় নতুন ঋণও খেলাপির পাল্লা যে ভারী করছে এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই। ঋণ যাতে কুঋণে পরিণত না হয়, এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোর যতটুকু সতর্ক ও সজাগ থাকার কথা, তাতে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে এরই মধ্যে বহুবার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একে আমলে নেয়া প্রয়োজন। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার পাশাপাশি সুশাসনের প্রভাব ব্যাংক খাতের অন্যতম সমস্যা। ঋণ যাতে খেলাপি না হয়, সেজন্য বিদ্যমান নীতিমালার ব্যাপারেও নতুন করে ভাবতে হবে। গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। সুতরাং ব্যাংকারদের সৎ থাকা ছাড়া উপায় নেই। রাজনৈতিক ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত থেকে বস্তুনিষ্ঠভাবে ব্যাংকাররা যাতে কাজ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। খেলাপি ঋণের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইন যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন বিশেষ বেঞ্চ গঠনের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা। শুধু অর্থঋণ আদালতে এসব মামলার সময়মতো নিষ্পত্তি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও