গণতন্ত্রের ‘আওয়ামী লীগ মডেল’

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৭

আওয়ামী লীগের নেতারা ইদানীং একটি কথা বেশ জোরেশোরে বলেন যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র অন্য দেশের মতো হবে না। বাংলাদেশের মতোই হবে। তাঁদের এসব কথা শুনে সত্তরের দশকের বহুল চর্চিত একটি কথা মনে পড়ল। সে সময় বাম দলগুলো যখন মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আওয়াজ তুলেছিল, তখন আওয়ামী লীগ থেকে বলা হলো, এখানে বিদেশি কোনো মতবাদ চলবে না। বাংলাদেশের সমাজতন্ত্র হবে বাংলাদেশের মতো। কিন্তু আমাদের সংবিধানে সমাজতন্ত্র মূল নীতি হিসেবে লিখিত হলেও বাস্তবে আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো কার্যকর উদ্যোগই নেয়নি। 


এখানকার বেশির ভাগ শিল্পকারখানা ছিল পাকিস্তানিদের। তাঁরা চলে গেলে সেগুলোর মালিকানা রাষ্ট্রের হাতে এসে যায়; ক্ষমতাসীনেরা সেটাই সমাজতন্ত্র বলে চালাতে থাকলেন; যার মধ্যে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীও ছিল। প্রথমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে লুটপাটতন্ত্র চলল, পরবর্তীকালে সেগুলো বেসরকারীকরণের নামে আরেক দফা লুটপাট চলতে থাকল। হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনেও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পগুলো কোনো সরকার চালাতে পারল না। অথচ মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির আওয়াজ না তুলেও ভারী শিল্পকারখানা রাষ্ট্রের হাতে রেখে সেগুলোকে যেমন লাভজনক করেছে, তেমনি অর্থনীতিকেও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছে। এটাই হলো বাংলাদেশি মডেলের সমাজতন্ত্রের করুণ পরিণতি। 


আর বাংলাদেশি গণতন্ত্রের মডেল আমরা ৫১ বছর ধরেই দেখে আসছি। আওয়ামী লীগের নেতারা প্রায়ই বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বেশির ভাগ সময় ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি’ ক্ষমতায় ছিল বলে তাঁরা যে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠাকে রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি হিসেবে নিয়েছিলেন, সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আমরা হিসাব করলে দেখব, গত ৫১ বছরের মধ্যে বিএনপি তিন দফায় ক্ষমতায় ছিল ১৬ বছর ৯ মাস, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৮ বছর ৮ মাস। বাকি সময়টা আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় ছিল এবং আছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রায় পৌনে চার বছর ক্ষমতায় ছিল। শেখ হাসিনার সরকার চার দফায় ১৯ বছর। সে ক্ষেত্রে তাদের ভাষ্যমতে স্বাধীনতাবিরোধী ও পক্ষের শক্তির ক্ষমতার মেয়াদে খুব বেশি ফারাক নেই। আবার আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিক শক্তিকে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী মনে করে, তাদের একাংশকে নিয়েই তিনবার সরকার পরিচালনা করেছে এবং তিনবার জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছে। এমনকি তারা যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করতেও দ্বিধা করেনি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও