কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এরদোয়ানের বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে এখন চুপ কেন পশ্চিমারা

প্রথম আলো পেপে এসকোবার প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১০:১২

বিশ্বে আরেকটি বিশেষ সামরিক অভিযান চলছে। রাশিয়ার পরিচালিত ইউক্রেনকে ‘নাৎসি মুক্তকরণ’ কিংবা ‘নিরস্ত্রীকরণ’ অভিযান সেটা নয়; এ কারণে সেটা পশ্চিমাদের মনোযোগের বিষয় হতে পারেনি। তুরস্কের নাগরিকদের ওপর কুর্দি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, এমন অভিযোগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোয়ান অপারেশন ক্ল-সোর্ড বা তরবারি নখর নামে বিশেষ এই সামরিক অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযানে উজ্জীবিত করা হচ্ছে জাতীয় আবেগ। কুর্দিদের ওপর যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে, সেগুলোর নামকরণ করা হচ্ছে কুর্দি হামলায় নিহত তুর্কিদের নামে।


আঙ্কারার কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও ইরাকে কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় তুরস্কের বিমান হামলা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলের সড়কে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, তার জন্য কুর্দি সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন তাঁরা। এ হামলার জন্য আরও বড় মূল্য চুকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আঙ্কারার কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ অভিযানের এটা প্রথম ধাপের হামলা। ২০২২ সালে কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় তুরস্কের এটা তৃতীয়বারের মতো হামলা। তুরস্কের ‘সুলতান’ এরদোয়ান সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় স্থলহামলারও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। যদিও কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, এ ধরনের স্থল-অভিযান এখনই শুরু হচ্ছে না। তবে তুরস্কের বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে অনড় যে আগে হোক বা পরে, সিরিয়ায় স্থলবাহিনীর অভিযান অনিবার্য।


কৌশলী সুলতান এরদোয়ানের সামনে এখন বিবেচনার জন্য দুটি বিষয় রয়েছে। আগামী বছর নির্বাচন। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান এ ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষেই যাবে। দ্বিতীয়টি রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এর একটা বড় তাৎপর্য হলো ভূরাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক। এরদোয়ান ভালো করেই জানেন যে তাঁকে নিরস্ত করতে মস্কো সম্ভাব্য সব পথেই এগোবে। দৃষ্টান্ত হিসেবে, রাশিয়া একেবারে শেষ মুহূর্তে ইন-আল-আরবে রাশিয়া-তুরস্ক যৌথ মহড়া বাতিল করেছে। ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব দিকের ইন-আল-আরব ভূকৌশলগত কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ।  


ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছেন এরদোয়ান। ফলে সর্বোচ্চ লাভবান হচ্ছে আঙ্কারা। তুরস্কের এই অবস্থান ঝুঁকির মধ্যে পড়ুক, তা চান না এরেদায়ান। তুরস্কের সুলতান ভেলকিবাজিতে ওস্তাদ। তিনি খুব গভীরভাবে বিশ্বাস করেন যে রাশিয়া ও ন্যাটোকে শেষ পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে নিয়ে যেতে পারবেন তিনি। তাতে অবসান হবে ইউক্রেন যুদ্ধের। এরদোয়ানের ভাবনায় আরও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। তুরস্ক-ইসরায়েল সম্পর্ক, দামেস্কের পুনর্মিলন, দেশের মধ্যে ইরানের নাজুক পরিস্থিতি, তুরস্ক-আজারবাইজান সম্পর্ক, ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের ক্রমাগত রূপান্তর, ইউরেশিয়ার একত্রকরণ—এসব ইস্যুতে শীর্ষে থাকতে চান এরদোয়ান। ন্যাটো ও ইউরেশিয়া ঘিরে যত বাজি আছে, তার সব কটিই ধরতে চান তুরস্কের সুলতান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও