সচিবের বাধ্যতামূলক অবসর, কোটি টাকার বাড়ি ও ‘দুর্ভিক্ষ’ মোকাবিলা

প্রথম আলো ড. আমিনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ১৩:০৮

সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের একজন সচিবকে হঠাৎ চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। পত্র-পত্রিকার খবরে জানা যায়, তিনি একটি মিটিংয়ে ছিলেন। এমন সময় তাঁর কাছে ওই চিঠি দিয়ে বলা হয়, ‘আপনি আর দায়িত্বে নেই!’ কোনো কোনো পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কাজের জন্য তাঁকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। যদিও ঠিক কোন অপরাধে তাঁকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি। এ ঘটনার পর সচিব সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি ক্লাস নাইন থেকে ছাত্রলীগ করতাম।’ এ কথা বলে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও পরিষ্কার নয়। তিনি কী বোঝাতে চাইছেন, ছাত্রলীগ করার পরও কেন তাঁকে এ শাস্তি দেওয়া হলো? নাকি ছাত্রলীগ করলে অন্যায় করেও রেহাই পাওয়া যায়?


এত গুরুত্বপূর্ণ একজন সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে হঠাৎ অবসরে পাঠানোতে দেশের জনগণের মনে যেমন নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনি এটাও অনুমান করা যায়, হয়তো সচিবালয়ের অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও একধরনের অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। সরকারের উচিত ছিল পরিষ্কার করে বলা, কেন এই সচিবকে হঠাৎ অবসরে পাঠানো হলো। এটি না করা হলে এ নিয়ে জনমনে বোধ করি আরও বেশি সন্দেহের সৃষ্টি হতে পারে। তিনি যদি কোনো অপরাধ করেই থাকেন, কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত কমিটি করা হলো না? কেন তাঁকে কোনো কঠিন শাস্তির আওতায় না এনে স্রেফ অবসরে পাঠানো হলো? সরকারকে তো এ বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে হবে। দেশের জনগণের অধিকার আছে বিষয়গুলো জানার। তাঁদের ট্যাক্সের টাকাতেই কিন্তু এই আমলাদের বেতন দেওয়া হয়।


ট্যাক্সের টাকার কথা যখন এলই, তখন আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। এক খবরে জানা গেছে, মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের জন্য সরকার বাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এসব বাড়ি বানাতে কোটি কোটি টাকা খরচ হবে। সচিবদের জন্য যদি সত্যিই বাড়ির প্রয়োজন হয়, তাহলে বানাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে বছরখানেক ধরে পুরো পৃথিবীজুড়েই অর্থনৈতিক সমস্যা চলছে। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছেন সামনে ‘দুর্ভিক্ষের’ পরিস্থিতিও হতে পারে। সবাইকে তিনি খরচ কমাতে বলেছেন। সেখানে এই সময়ে এসে কেন এমন একটা ঘোষণা দেওয়া হলো? কোটি টাকার বাড়ি বানিয়ে বুঝি আপনারা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সামাল দেবেন?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও