যে কারণে ইরানের নারীদের পক্ষে বিশ্বকে দাঁড়াতে হবে
হিজাব ঠিকমতো না পরে পথে বের হওয়ায় ইরানের রাজধানী তেহরানে মাহশা আমিনি নামের এক তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের হেফাজতেই শারীরিক নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে আটক করার পর ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে অসন্তোষের আগুনে জ্বলছে ইরান। রাস্তায় নেমে হিজাব পোড়ানো থেকে শুরু করে মাথার চুল কেটে ফেলার মতো নানা অভিনব প্রতিবাদ করছেন নারীরা। পথে নেমে এসেছেন পুরুষরাও। ইরানে নৈতিকতা রক্ষার দায়িত্বে একটি পুলিশ বাহিনী আছে, যাদের কাজই হলো নারীদের এমন ভয়ংকর শাসনে রাখা এবং এদের নিষ্ঠুরতার নানা প্রমাণ থাকলেও কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না।
মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা শত ছাড়িয়ে গেছে। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে মৃত্যু হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদেরও। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে এবং সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও ইরানের ইসলামি সরকার বিক্ষোভ দমাতে পারছে না। নিহতের পাশাপাশি জেলখানা ভরে উঠছে প্রতিবাদী মানুষের গ্রেফতারে। মাহশা আমিনি হত্যার খবরটি বাইরের পৃথিবীকে জানানোর কারণে নিলুফার হামিদি নামের এক সাংবাদিককেও গ্রেফতার করেছে ইরান সরকার। ২০১৯ সালের পর এটি ইরানে সবচেয়ে বড় জনবিক্ষোভ। সে বছর জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমে এলে শক্তহাতে দমন করে ইরান সরকার। তখন কমপক্ষে ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়, অজস্র মানুষকে গুম করা হয় আর হাজার হাজার মানুষকে জেল খাটতে হয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু
- হিজাব আইন