কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লালন আমাদের কেন প্রয়োজন?

বিডি নিউজ ২৪ আনিসুর রহমান প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:০৮

জীবন দুনিয়ার বড় পাঠশালা। সেই পাঠশালার শিক্ষার্থী ধরাধামের সকলে। তবে কাল জয় করে এই পাঠশালার পাঠ বিরল কিছু মানুষকে মনীষীর আসনে বসায়। আমাদের লালন ফকির ছিলেন এরকম একজন বিরল মানুষ। যিনি মনীষী, দার্শনিক আর কবি। তার জীবনের বহুল পঠিত ও বোধগম্য গল্পটা আমরা প্রায় সকলেই কম আর বেশি জানি। যাকে তীর্থযাত্রায় সঙ্গীরা মৃত ভেবে নদীতে ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছিল। শেষে সেই মৃত ঘোষিত লালন ভাসতে ভাসতে ভাটি পারের এক তীরে ভিড়েছিল।  হিন্দু মায়ের পুত এক মুসলমানের সেবাযত্নে সুস্থ হয়ে বেঁচে উঠেছিল। মৃত ঘোষিত সেই লালন বেঁচেছিলেন ১১৭ বছর। সারাজীবনে তিনি বেঁচেছিলেন ‘না হিন্দু’, ‘না মুসলমান’ মায়ের পুত হিসেবে। তিনি বেঁচে থাকলেন একজন ‘মানুষ মা’য়ের পুত বা মানবসন্তান হিসেবে।


ঋতুর পালাবদলের মতো গাছের পাতা ঝরে, পাতা ধরে, ফুল ঝরে আর ফুল ফোটে। ধরে ফল। সেই ফল হয় পরিপক্ক। লালনের জীবন ছিল বৃক্ষসম। তিনি স্থির ছিলেন মননে, চলনে ছিলেন গতিশীল এবং পরিশীলিত। জীবনের সকল অনুষঙ্গের সহজিয়া অবলম্বন আর দর্শন দেখিয়ে দিয়ে গেছেন নিজের কথা ও জীবনাচরণে।


লালনকে একজন আধুনিক বাঙালি মানসের ধর্মনিরপেক্ষ সহজিয়া বাউল মনীষী হিসেবে আমরা আমাদের চেনা প্রয়োজন। যদি পারি, তবে সেই চেনা-জানা থেকে বোঝাপড়ার জায়গায় ভণ্ডামি ব্যতিরেকে, দেখানোপনা পোশাকি ফ্যাশন সর্বস্ব লালনপ্রীতি পরিত্যাগ করা সম্ভব হবে। যদি আমাদের কথা ও কাজে, সমাজ ও রাজনীতিতে, সঙ্কট ও সম্ভাবনায় লালন দর্শনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আজকে দুর্নীতিতে নিমজ্জমান রাজনীতি প্রশাসন, পঁচা-নর্দমাময় ভেঙে পড়া ভোগবাদী সমাজ রূপান্তর, ধর্মের নামে ভেদাভেদ, ব্যবসা আর দুইনম্বরি, সংস্কৃতির মোড়লদের কর্পোরেট ঠিকাদারি থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব।


আজ থেকে অর্ধশত বছর আগে ফরিদা পারভিনের কণ্ঠে লালন সঙ্গীত শুনে বঙ্গবন্ধু আপ্লুত হয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, “এই লালনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে”। সেই বাঁচিয়ে রাখার প্রত্যয়ের মধ্যে কোনোরকম রাজনীতি বা বাকসর্বস্বতার প্রকাশ ছিল না। এটা ছিল জাতির পিতার ভেতরের তাগিদ এবং গভীর অভিনিবেশের প্রকাশ। এই বাঁচিয়ে রাখার অর্থ ছিল জনজীবনে মানুষের প্রয়োজন ও বাঙালির মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের তাগিদ থেকে।
বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের যে গানকে আজ থেকে সত্তর বছর আগে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ভেবে রেখেছিলেন, সেই গানের কথা রবীন্দ্রনাথ লালনের বাউল ভাবধারায় প্রভাবিত হয়েই রচনা করেছিলেন। আর এর সুর তিনি পেয়েছিলেন লালনের গানের সুর করা মহান সুরকার গগন হরকরা থেকে। এখানেই মহামনীষীদের চিন্তার জায়গার যোগগসূত্রগুলো মিলে যায়। লালন-গগন হরকরা-রবীন্দ্রনাথ-বঙ্গবন্ধু বিশ্বচরাচরের বাঙালির এ এক চিরন্তন মানবিক অক্ষ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও