কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বোরো ঠিকমতো চাষ করতে না পারলে চালের দাম আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে

বণিক বার্তা এম আসাদুজ্জামান প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৭:২৮

ড. এম আসাদুজ্জামান বিআইডিএসের প্রফেসরিয়াল ফেলো ও সাবেক গবেষণা পরিচালক। সরকারের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া দেশের খাদ্য, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক নীতি এবং গবেষণায় যুক্ত আছেন। দেশের অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রভাব, কৃষিতে সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব, সেচে পানির অপচয়, সরকারের খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্য প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে বণিক বার্তার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা


কভিডের পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের টানাপড়েনে পুরো বিশ্ব ব্যবস্থা এখন টালমাটাল। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। পুরো বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?


প্রায় তিন বছর করোনা মহামারী চলেছে, যদিও এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। কভিডে আন্তর্জাতিকভাবে সংক্রমণ ঘটলেও সেটা কীভাবে সামাল দেবে, তা অনেকটা নির্ভর করেছে অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ ও নীতির ওপর। এটা মোটামুটি আমাদের হাতের মুঠোয় ছিল। কিছু অসংগতি থাকলেও বলতে হবে বাংলাদেশ ভালোই সামাল দিতে পেরেছে। এক চিকিৎসক আমাকে বলেছেন, যেসব দেশে ছোটবেলায় শিশুদের বিসিজি টিকা দিয়েছে, সেসব দেশে কভিডের প্রকোপ তুলনামূলক কম। বাংলাদেশে এ টিকা বাধ্যতামূলক। এদিক থেকে বাংলাদেশ হয়তো অন্য এক স্বাস্থ্য নীতির সুফল পেয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপার ছাড়াও আরেকটা বিষয়ে বাংলাদেশ অনেকটা উতরে যেতে পেরেছে, শিল্পে কিছুটা প্রভাব ফেললেও কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় কভিড বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।


কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলো, এখন এর প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হলো বাণিজ্য অবরোধ দেয়া হলে সমস্যাটা একটু অন্য ধরনের হয়ে গেল। আমরা জানি, গমের ক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। যেহেতু আমাদের খাদ্যতালিকায় চালের পরই গমের অবস্থান, সেহেতু আমাদের ওপর একটা ধাক্কা এসেছে। একই সঙ্গে আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায়ও একটা আঘাত এসেছে। আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ কমে গিয়েছে। অনেকে মনে করেন, রিজার্ভ এখন ৩০-৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপর হবে না। রিজার্ভ স্থবির কোনো সঞ্চিতি নয়। আমদানি বিল মেটাতে প্রতিনিয়ত খরচ হচ্ছে। আবার রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়লে পূরণ হচ্ছে। এটা এক চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার মধ্যে যা সমস্যা বলে মনে হয় তা হলো অনাবশ্যক আমদানি অনেক বেড়েছে। এখানে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কোনো অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে গেলে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মধ্যে ভোগের ধরনে পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশেও এটা হয়েছে। এখনকার দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বিলাসপণ্য উদ্ভাবিত হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে জেনে যাই এবং কেনার ইচ্ছা মনের মধ্যে তৈরি হয়। এ ধরনের পণ্য যেগুলো জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যক নয়, সেগুলো আমদানি করার কারণে আমদানি বিল বেড়ে গিয়েছে। এ জন্যই বাণিজ্য ঘাটতির ব্যবধান স্ফীত হয়েছে এবং রিজার্ভ কমে গেছে। সব মিলিয়ে বাইরের ঘটনাপ্রবাহে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি বলব, এসব উদ্যোগ যদি আরো এক বছর আগে তারা নিত, তাহলে আজকের এ দুর্ভোগ হতো না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও