সম্রাটের জামিন কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই মামলায় সম্রাটকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল দেন।
রাষ্ট্রপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৩ অক্টোবর রুল শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
ওই মামলায় ২২ আগস্ট নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান সম্রাট। এ জামিন বাতিল চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
জামিন মঞ্জুরের পর ২২ আগস্ট রাতে মুক্ত হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাট। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কারাগারে না থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জামিন পাওয়ার পরও তিন দিন তিনি হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন। গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে প্রথমে শান্তিনগরে তাঁর মায়ের বাসায় যান সম্রাট। সেখান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানী ঢাকায় যে অভিযান পরিচালনা করে, তা আওয়ামী লীগে ‘শুদ্ধি অভিযান’ হিসেবে পরিচিতি পায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আটক করা হয় সম্রাটকে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং, অস্ত্র আইন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনের মামলায় আগেই জামিন হয় তাঁর। সর্বশেষ গত সোমবার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন হলে রাতেই মুক্তি পান তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার আগপর্যন্ত সম্রাট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। যুবলীগের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে তখন বিবেচনা করা হতো তাঁকে।