মাঝ রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৭:০২

না! বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় শুধু নয়, রাতে ঘুম ভাঙার কারণ থাকতে পারে অন্য ধরনের মানসিক চাপ। আর সমাধানও রয়েছে।


রাতে একটানা ঘুম পুরোদিন কাজ করার জন্য জরুরি। তবে কিছু মানুষের প্রায়ই মধ্যরাতে ঘুম ভাঙে। সহজে আর ঘুম আসতেও চায় না।


এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফাংশনাল মেডিসিন’য়ের চিকিৎসক স্কট বেয়ার বলেন, “রাত দুটা থেকে চারটার মধ্যে যদি কারও ঘুম ভেঙে যায়, তারপর প্রচণ্ড ক্লান্তি থাকার পর ঘুমাতে না পারে তবে দুটি হরমোন এর কারণ হতে পারে। এগুলো হল ‘কর্টিসল’ আর ‘অ্যাড্রেনালিন’। দুটোই ‘অ্যাড্রেনাল’ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় বলে এদের বলা হয় ‘অ্যাড্রেনাল’ হরমোন।”


সম্প্রতি তার এক টিকটক ভিডিওর বরাত দিয়ে ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এই ঘরানার হরমোনের মধ্যে আরও আছে ‘অ্যাল্ডোস্টেরন’ ও ‘নোরাড্রেনালিন’।


এই চিকিৎসক বলেন, “কর্টিসল’ হরমোনের প্রধান কাজ হল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। রাতের ঘুমানোর সময়টা হল সবচাইতে লম্বা সময় যেখানে মানুষ না খেয়ে থাকে। আর এই পুরো সময়টায় ‘কর্টিসল’য়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। সমস্যা হল কেউ যদি মানসিক চাপে থাকেন, তখন কর্টিসল’য়ের সেই তাল নষ্ট হয়ে যায়। তখন ভিন্ন বিকল্প পদ্ধতির ওপর ভরসা করতে হয়।”


“সেই বিকল্প ব্যবস্থা হল ‘অ্যাড্রেনালিন’ যা অনেক গুন বেশি সক্রিয়। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক জোরালো প্রভাব ফেলে এই হরমোন। ‘কর্টিসল’য়ের বদলে যখন ‘অ্যাড্রেনালিন’ বাড়তে থাকে তখন শরীর আতঙ্ক অনুভব করে। ফলে আপনি হয়ত লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে যান।”


ডা. বেয়ার পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, “সমস্যা সমাধানের ভোজ্য একটি সমাধান আছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘুমানোর খুব কাছাকাছি সময়ে এমন খাবার খেতে পারেন যাতে প্রোটিন ও চর্বির মাত্রা প্রচুর। এতে সারারাত রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে এবং ‘অ্যাড্রেনালিন’ তৈরি হওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।”


তার মানে এই নয় যে ঘুমানোর আগে স্টেক খেতে হবে। রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে ভারি কিছু খেলে সেটাও ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও