প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে অপরাধীরা
ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে লোক পাঠানো কিংবা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নারী ও শিশু পাচার—সব ক্ষেত্রেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বেড়েছে। প্রযুক্তিকে নানাভাবে ব্যবহার করছে এই অপরাধীরা।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নারী ও শিশু পাচার দমনে কাজ করতে গিয়ে তারা এই গবেষণা করে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহায়তায় পরিচালিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পাচারকারীরা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সংকটে থাকা পরিবারের শিশু-কিশোরীদের পাচারের জন্য টার্গেট করছে।
আজ শনিবার বিশ্ব মানবপাচারবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে ব্র্যাক। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রযুক্তির ব্যবহার ও অপব্যবহার’।
ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে পাচারের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটকসহ নানা মাধ্যম অনেক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চাকরি কিংবা নায়িকা বা মডেল বানানোর কথা বলে কিশোরী-তরুণীদের নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের মানব পাচার চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।