কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লোডশেডিংয়ে অর্থনৈতিক সংকট কমে নাকি বাড়ে

www.ajkerpatrika.com ফজলুল কবির প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ১০:০৬

দেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ ‘লোডশেডিং’। বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে, তা সরল করলে দাঁড়ায় ‘অর্থনৈতিক সংকট’ মোকাবিলায় আগে থেকেই নেওয়া সতর্কতা। প্রশ্ন হলো, লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে যতটা সাশ্রয় হবে, তার চেয়ে বেশি লোকসান গুনতে হবে না তো?


এই প্রশ্নের উত্তর এককথায় দেওয়াটা সহজ নয়। তবে চেষ্টা করা যেতে পারে। তার আগে লোডশেডিংয়ের কারণ হিসেবে সরকারি বয়ানটি আরেকবার জানা যাক।


সরকার বলছে, জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরও করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এক-দেড় ঘণ্টা করে প্রতিদিন লোডশেডিংয়ের কথা বলেছেন। পাশাপাশি কোথাও কোথাও এই লোডশেডিং দুই ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


এই ঘোষণা এসেছে ১৮ জুলাই। সবাই জানে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই জ্বালানি তেলের একটা সংকট তৈরি হয়েছে। দাম বেড়েছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের পাশাপাশি সপ্তাহে এক দিন পেট্রলপাম্প বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও এর পূর্ণ দিকনির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাভিত্তিক সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের তালিকা এরই মধ্যে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। এ নিয়েও নানা সমালোচনা চলছে। কারণ, বাস্তবের লোডশেডিংয়ের সঙ্গে প্রকাশিত তালিকা এবং জ্বালানি উপদেষ্টার ঘোষণার মিল পাওয়া যাচ্ছে না অনেক এলাকাতেই।


রাজধানীতেই বিভিন্ন এলাকায় দিনে ৩ ঘণ্টা, কোনো কোনো এলাকায় তারও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতে এর দৈর্ঘ্য আরও বেশি। আর উপজেলা পর্যায়ে এমনকি ১০-১২ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের খবরও পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের সংকট বেশ বড় মাত্রায় তৈরি হয়েছে বলেই মনে হয়। বিশেষত যখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হলো, সেখানে সরকারি দপ্তরগুলোতে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলা হয়।


সার্বিক পরিস্থিতিতে দুটি প্রশ্ন সামনে আসছে। প্রথমটি হলো, যদি না-ই মানা হয়, তবে ঘটা করে সময়সূচি প্রকাশ করা কেন? আর দ্বিতীয় প্রশ্নটি শুরুতেই উত্থাপন করা হয়েছে যে এই আর্থিক সাশ্রয়ের চেষ্টার কারণে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হবে না তো?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও