কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিশুদের বয়স ও আমাদের বাস্তবতার দোহাই

প্রথম আলো শাহদীন মালিক প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২, ১৭:০৮

আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি শিশুদের বয়সসংক্রান্ত নতুন সুপারিশ করেছে। এই কমিটির সুপারিশ ৪ ও ৫ জুলাই প্রথম আলোর খবরে পড়েছি। সুপারিশের মোদ্দাকথা যা খবরে পড়েছি, সেটা হলো বর্তমান আইনে বিদ্যমান শিশুর বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। শিশু আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো শিশু খুনসহ ভয়ংকর কোনো অপরাধ করলেও তার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড। কোনো শিশুর কারাদণ্ড হলে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সে থাকবে কিশোর সংশোধনাগারে এবং পরে প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। ১৮ বছর বয়সের কম কোনো শিশু সাধারণ অপরাধে জড়িত হয়ে পড়লে তাকে শাস্তি না দিয়ে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। আমাদের শিশু আইনে শিশুদের অধিকার ও শিশুদের প্রতি আচরণবিষয়ক বিভিন্ন অন্তর্জাতিক সনদ (কনভেনশন) ও দিকনির্দেশনার (গাইডলাইন) শুধু প্রতিফলনই ঘটেনি, বরং সেগুলোর সুচারুভাবে অনুসরণ করা হয়েছে।


এটা অনস্বীকার্য যে ইদানীং শিশুদের বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া ও গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পত্রিকায় আসছে। বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ও অপরাধ বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এসব উদাহরণ বিবেচনায় নিয়ে শিশু আইনে শিশুর বয়স কমানোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। কমিটি আরও বলেছে যে আন্তর্জাতিক সনদ ও মানদণ্ড প্রতি ক্ষেত্রে এবং অক্ষরে অক্ষরে মানা অযৌক্তিক। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি, মানদণ্ড বা সনদ বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরিখে পরীক্ষা করে আমাদের জন্য তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের প্রেক্ষাপটে ১৮ বছরের সীমারেখাটা কতটা বাস্তবধর্মী, সেটা দেখতে হবে। এক অর্থে কথাগুলো যৌক্তিক, কিন্তু অন্য অর্থে মহা ভয়ংকর ও ভয়ানক।


একটু পেছনের ইতিহাস ঘাঁটলে এটা স্পষ্ট হবে যে শিশু আর প্রাপ্তবয়স্কদের ফারাক বা পার্থক্য মানবসভ্যতার ইতিহাসে খুব আগে নয়। ক্যামেরা আবিষ্কারের আগে ছবি হতো রং–তুলি অথবা পেনসিল–কলম দিয়ে এঁকে। সতেরো শ সালের আগে-পরে যেসব শিশুর ছবি আঁকা হয়েছে, সেখানে শিশুদের পোশাক–আশাক ছিল বয়স্ক বা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো। বহু দশকের আঁকা ছবিগুলো দেখে বলা হয়েছে যে শিশুদের আলাদা অস্তিত্ব তখন ছিল না। অর্থাৎ শিশুরা ছিল প্রাপ্তবয়স্কদের ছোট সংস্করণ মাত্র। তাদেরও কাজ করতে হতো বড়দের মতো; খারাপ কিছু করলে শাস্তিও পেত সেই বড়দেরই মতো । শিশুরা যে বড়দের ছোট সংস্করণ নয়, অর্থাৎ শুধু আকৃতিতেই যে তারা ভিন্ন নয়, বরং পরিপক্বতা, বুদ্ধিমত্তা, আচার-আচরণ, মানসিকতা সর্বোপরি বোঝার ক্ষমতা যে তাদের ভিন্ন—মানবসভ্যতায় এ উপলব্ধি হয়েছে খুব বেশি দিন আগে নয়। এখন কম বয়সী কাউকে দিয়ে কাজ করালে সেটাকে আমরা শিশুশ্রম বলি। এটা একটা গর্হিত কাজ বলে মনে করি। শিশুশ্রম প্রায় সব দেশেই নিষিদ্ধ। দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার নিরিখে শিশুশ্রমের পক্ষে যুক্তি দাঁড় না করিয়ে তাদের দারিদ্র্য ও দুরবস্থা নিরসনের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নিশ্চয়ই বহুলাংশে শ্রেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও