ভবনের নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে সংস্কার ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার বিষয়টি গল্পের মতো মনে হলেও বাস্তবে তা-ই ঘটেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এমন দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এর তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা গেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের চাঞ্চল্যকর এই আর্থিক দুর্নীতির তথ্য পাওয়ার পর অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা। এরপর অনিয়ম খতিয়ে দেখতে কয়েক মাস আগে মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়।
আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশনের (এসএএআরসি) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গবেষণার উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভবনটি যে কাজে ব্যবহারের কথা ছিল, সে কাজে ব্যবহার হয়নি। পরে এটি অধিদপ্তরের জাতীয় আবহাওয়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের নির্দেশনা দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে এ ভবনের ব্যবহার নিয়ে আরও কিছু পরিকল্পনা করা হয়। সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে (বিএমডি) অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিএমডির সাবেক পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন।