পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশার খলনায়ক কে
অর্থনীতি, রাজনীতি ও ব্যক্তিত্ব সাধারণত অবিচ্ছেদ্য। কথাটি বলেছেন প্রয়াত মার্কিন রাজনীতিবিদ চার্লস এডিসন। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও এটাই সত্য। কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানকে অর্থনীতি, রাজনীতি ও ব্যক্তিত্বের এক তিক্ত মিথস্ক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে।
যেকোনো দেশের শক্তির প্রতিফলন নির্ভর করে তার অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর, যা পাকিস্তানের পক্ষে এই মুহূর্তে পূরণ করা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। ফলে সম্পদশালী দেশ হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান একটি চিরস্থায়ী ক্রান্তিকালে আটকে থাকছে।
পাকিস্তানে ব্যাপক দারিদ্র্য ও স্থবির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অন্য অনেক কারণের মধ্যে দুর্বল শাসন ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে হলে পাকিস্তানের ভূ-কৌশলগত অবস্থানকে সম্পদে পরিণত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এমনটা করতে হলে এর মূল চাবিকাঠি হবে সহায়ক অর্থনৈতিক সুশাসন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। শুধু প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক অংশীদারদের অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে এটা অর্জন করা সম্ভব।