হাতেকলমে শিক্ষায় আগ্রহ গ্রামের শিক্ষার্থীদের, শহরে মুখস্তবিদ্যা

জাগো নিউজ ২৪ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২২, ০৮:২০

গ্রামের শিক্ষার্থীদের চেয়ে শহরের শিক্ষার্থীরা ফলাফলে সবসময় এগিয়ে। ভালো ফল অর্জন করায় পরের ধাপে নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ঠাঁই মেলে তাদেরই। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে পরিস্থিতি পুরোপুরি উল্টো। নতুন কারিকুলামে গ্রামের শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে হাতে-কলমে শিখছে। আর মুখস্তবিদ্যা না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে শহরের নামি দামি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। দেশের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ -এর পাইলটিং কার্যক্রমে এমন তথ্য উঠে এসেছে। শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামের শিক্ষার্থীরা দ্রুত নতুন শিক্ষাক্রম আয়ত্ত করতে শিখছে। তারা নতুন ধারণার ওপর প্রশ্ন করছে। শিক্ষক-অভিভাবকরা তাদের আগ্রহে খুশি। গৃহশিক্ষক ছেড়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি তথা দলভিত্তিক অধ্যয়ন করছে। তারা নতুন শিক্ষাক্রম উপভোগ করছে।


অন্যদিকে শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপরীতচিত্র দেখা যাচ্ছে। তারা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষাগ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে। অকারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছে। মুখস্তবিদ্যানির্ভর পড়াশোনা করে দ্রুত পরীক্ষা দিতে এবং ভালো ফল পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে এমন সুযোগ না থাকায় তারা অনেকটাই হতাশ।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারমাস ধরে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ শ্রেণির পাইলটিং কার্যক্রমের আওতায় ক্লাস শুরু হয়েছে। হাতে-কলমে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কাজ, নিজের ও অন্যদের প্রতি দায়িত্ব ও করণীয় এবং চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখানো হচ্ছে। সেখানে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মুখস্তবিদ্যার চেয়ে বাস্তবমুখী শিক্ষা। এর প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব দেখতে পাইলটিং কার্যক্রম চলা বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, ধারণা করা হচ্ছিল—নতুন শিক্ষাক্রমে শহরের শিক্ষার্থীরা ভালো করবে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা আরও পিছিয়ে যেতে পারে। বাস্তবে ঘটছে উল্টো। শহরের নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও