কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাজেট না বোঝা মানুষের বাজেট ভাবনা

যুগান্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২, ১০:১৪

বাজেট ঘোষণার পরদিন অর্থাৎ ১০ জুন একটি টিভি চ্যানেল সংবাদপত্র পর্যালোচনার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিল। তাদের মুখ্য আলোচনা হবে বাজেট নিয়ে। আমি সবিনয়ে বলেছিলাম বাজেট পর্যালোচনার করার মতো বিশেষজ্ঞ আমি নই; তেমন জ্ঞানও রাখি না। অনুষ্ঠান প্রযোজকের সরল উত্তর, ‘স্যার, আপনি তো সাধারণ মানুষের একজন। তাই সাধারণ মানুষের বাজেট ভাবনাটিই আপনি বলবেন।’


আজকের বাজেট ভাবনার এ লেখাটি আমি সাধারণ মানুষের ভাবনারই প্রকাশ বলে মনে করি। খুব একটা ভালো সময় কাটছে না এখন। যেটুকু ভালো তা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপার্থিব আনন্দের। যেমন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে আমরা, মেট্রোরেলের হুইসেল যেন শুনতে পাচ্ছি, বিস্ময়ভরা দৃষ্টি নিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার অপেক্ষা করছি; পাশাপাশি পার্থিব হিসাব-নিকাশের জায়গায় সাধারণ মানুষের হতাশা কেবল বাড়ছে।


বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক ছিল। তারা চেয়েছিল কোভিডের আঘাতে যেসব খাত বিপর্যস্ত হয়েছিল সেগুলো পুনরুদ্ধারের রূপরেখা থাকবে বাজেটে, প্রত্যাশা ছিল মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কোনো রক্ষাকবজের আলো থাকবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিক্ষা উপকরণের দাম কমবে, প্রকৃত প্রস্তাবে শিক্ষা উন্নয়নে বাজেট সম্ভাবনার আলো দেখাবে, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি হ্রাস করার দিকনির্দেশনা থাকবে, আয় বৈষম্য কমানোর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাবে, মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তের ওপর চলমান আয়করে বৈষম্যের কশাঘাত এবার কমবে। কিন্তু এসব প্রত্যাশা পূরণের অনেকটা জায়গাই ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে রইল।


বরাবরের মতো ব্যবসায়ীবান্ধবই (ব্যবসা নয়) হয়ে গেল এই বাজেট। বাজেট প্রণেতা ও সরকার সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী মানুষদের স্বস্তির বাজেটই হলো। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাহীন সাধারণ ও প্রান্তিক মানুষ রয়ে গেল যেন একই তিমিরেই। কিন্তু এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। হয়তো হয়ও নেই। অজ্ঞতার কারণে হয়তো আমরা বুঝতে পারছি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও