বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই ঘুম ভেঙে জেগে উঠতে হবে
এ কথা ঠিক যে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। গরিবি কমছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে, বড় বড় ব্রিজ-কালভার্ট হচ্ছে, চকচকে দালানকোঠা, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু হচ্ছে। এসবই উন্নয়নের সূচক।
কিন্তু একটি দেশের উন্নয়নের যা প্রাণ সেই শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের উন্নয়নের চিত্রটা কেমন? এর উত্তরটা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। দেশে বর্তমানে ৫৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও লেখাপড়ার মানে আমরা মোটেও সন্তোষজনক অবস্থানে নেই। বিশ্বের শীর্ষ ৫০০টি উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা র্যাঙ্কিংয়ে ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে গত বছরের মতো এবারও ৮০১ থেকে ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া ১০০১ থেকে ১২০০তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে দেশের আরও দুই বেসরকারি ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়’। উল্লেখ্য, কিউএস তাদের তালিকায় ৫০০-এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি।
একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতের ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং করে প্রতিষ্ঠানটি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বিশ্ববিদ্যালয়
- র্যাংকিং