বিস্ফোরণের প্রভাব: বাতাসে পানিতে গ্যাস শরীরে প্রতিক্রিয়া

সমকাল প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২২, ১১:২৯

সীতাকুণ্ড কাঁপানো বিস্ম্ফোরণের আওয়াজ গেছে আশপাশের সবার কানে। তবে বিস্ম্ফোরণের মূল ঘাতক রাসায়নিক হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নীরবে পরিবেশের বিপদ ডেকে আনছে, তা চোখে ধরা দিচ্ছে না কারোর। সেটা খুব বড় মাত্রায় না হলেও প্রচ্ছন্ন একটি প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে মানবশরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসায়নিক বিস্ম্ফোরণের কারণে সীতাকুণ্ডের আকাশে ছড়িয়ে গেছে অ্যাসিডিক গ্যাস। এটি মিশেছে পানিতেও। দূষিত এই পানি বঙ্গোপসাগর ও খালে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য বাঁধ দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে বাতাস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে কার?


হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বিস্ম্ফোরণের পর বাতাসে ছড়িয়ে পড়া অ্যাসিডিক গ্যাস ছড়াচ্ছে সীতাকুণ্ডের আনাচে-কানাচে। তীব্র তাপদাহ সৃষ্টি করেছে গ্যাসটি। এই অ্যাসিড বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় কমেছে অক্সিজেনের মাত্রা। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, শরীর ও চোখে চুলকানি দেখা দিয়েছে। পরিবেশবিদ ও গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, দূষিত পানি অন্তঃসত্ত্বা নারীর শরীরে গেলে জীবন-মৃত্যুর সংকট সৃষ্টি হতে পারে। পরিবেশ অধিদপ্তর এরই মধ্যে পানির নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাকাজ শুরু করেছে।


পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী বলেন, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হয়। তাপ ও আলো সহ্য করতে পারে না এই রাসায়নিক। এটি একদিকে জারক তথা অক্সিজেন গ্রহণে কাজ করে, অন্যদিকে বিজারক হিসেবে হাইড্রোজেনের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দেয়। বিস্ম্ফোরণের পর ওই এলাকা ও আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকায় প্রাথমিকভাবে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেবে। তখন মানুষের শ্বাসকষ্ট, চোখ, কান ও শরীরে চুলকানি এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। গ্যাসমিশ্রিত পানি খেলে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে পশুপাখির মৃত্যুও হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইদ্রিস আলী জানান, খুবই কম মাত্রায় এই রাসায়নিক কাপড়ের রং পরিস্কার, দাঁত ও কানের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়লে তা মানুষ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও