বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের অঙ্গীকার কী
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও বিশ^ পরিবেশ দিবস পালন করা হয় এবং এ বছরের পরিবেশ দিবস বিশেষ কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এই জন্য যে, ২০২২ সাল পরিবেশ দিবস উদযাপনের ৫০ বছর। শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৭২ সালে সুইডেনের স্টকহোমে। শুরুর মতো এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘একটাই পৃথিবী’ (ঙহষু ঙহব ঊধৎঃয)। এই দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে পৃথিবীতে পরিবেশ ধ্বংস বেড়েছে বৈ কমেনি। ক্রমাগত জলবায়ুর পরিবর্তন, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে পৃথিবী এখন এমন ঝুঁকির মধ্যে আছে যা সত্যিই নজিরবিহীন।
বাংলাদেশের জন্য পরিবেশ দিবস খুবই প্রাসঙ্গিক। আমরা একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ভুক্তভোগী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণের কোনো কোনো ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়নও বটে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামক কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা নগণ্য হলেও পরিবেশ ধ্বংস ও দূষণের ক্ষেত্রে একেবারে প্রথম কাতারে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের অমাদের ভূমিকা কম বলে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, বরঞ্চ যা আছে তা হলো পরিবেশ সংরক্ষণে যথাযথ ভূমিকা নেওয়ার দায়িত্ব।
এই দায়িত্ব অবহেলার কারণেই ঢাকার বাতাস পৃথিবীর অন্যতম দূষিত, ঢাকা ও আশপাশে যতগুলো জলাভূমি আছে তার প্রায় সবগুলোই চূড়ান্ত মাত্রায় দূষিত, খাল ও নদী যেন ময়লার ভাগাড়, নর্দমা ও শিল্প বর্জ্যরে নিরাপদ ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’। পাহাড় কাটা, নদী, খাল ও জলাভূমি ভরাট, বনভূমি ধ্বংস ইত্যাদি তো আমাদের প্রেক্ষাপটে প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। পাশাপাশি ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, শহুরে জীবনে যথেচ্ছাচার শব্দযন্ত্রের ব্যবহার, অপরিকল্পিত দালানকোঠা ও অবকাঠামো পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বিশ্ব পরিবেশ দিবস