চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেই হবে
দেশে সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদনকারী (৫৫ শতাংশ) বোরো ফসলের ভরা মৌসুমে হু হু করে চালের দাম বাড়ার কারণ নির্ণয় করেছে খাদ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়। গত ২৯ মে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিল মালিকগণ ও করপোরেট হাউজগুলোর মধ্যে ধান কিনে মজুত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
অধিকাংশ মিল মালিক বাজার থেকে ধান কিনলেও তারা চাল উৎপাদনে যাচ্ছেন না। বাজারে নতুন চাল এখনো আসছে না। এখন বাজারে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে, তা গত বছরের পুরোনো চাল। তাছাড়া বিভিন্ন করপোরেট হাউজ ধান-চালের ব্যবসা শুরু করেছে। তারা বাজার থেকে ধান কিনে মজুত করছেন এবং প্যাকেটজাত করছেন। প্যাকেটজাত চাল বেশি দামে বাজারে বিক্রিও হচ্ছে (যুগান্তর, ৩০ মে)। বলার অপেক্ষা রাখে না, বোরো ফসল কাটা-মাড়ার ভরা মৌসুমে বাজারে নতুন চাল না আসার কারণে পণ্যটির দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে, যা গরিব, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ভোক্তাদের দিশেহারা করে তুলেছে। খাদ্যমন্ত্রী মিল মালিকদের কাছ থেকে ধান কেনা ও চাল ক্রাশিংয়ের তথ্য সংগ্রহ এবং করপোরেট হাউজগুলোর সঙ্গে বৈঠক করার কথা বলেছেন। এসব পদক্ষেপের ফলে চালের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। ফলাফল নেতিবাচক হলে চালের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে এবং চালের অস্থিতিশীল বাজারকে স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বোরো ধান
- বোরো উৎপাদন
- বোরো চাল
- চাল সরবরাহ