কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নতুন শিক্ষাক্রম : প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা

কালের কণ্ঠ ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২২, ১১:০৪

নতুন শিক্ষাক্রমে শিখন-শেখানোর বিষয় ও পদ্ধতি এমন হবে যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সহযোগিতার মনোভাব ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষায় উন্নত সব দেশেই এ বিষয়ে এখন বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ বরেণ্য শিক্ষাবিদরা বেশ কয়েক দশক ধরে লক্ষ করছেন, শিক্ষাকে উন্নত করার অভিপ্রায়ে বেশির ভাগ অবিমৃশ্যকারী রাষ্ট্রে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থীতে, স্কুলে-স্কুলে প্রতিযোগিতার ভয়াবহ বীজ বপন করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্টের দাপটে এখন কে কাকে কতটা পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারবে, সবাই এই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এতে শুধু শিক্ষাবিদরা নন, প্রায় সব প্রগতিশীল চিন্তাবিদ উদ্বিগ্ন এই কারণে যে মানুষে-মানুষে যে সহযোগিতার কারণে মানবসভ্যতা এত দূর এগিয়েছে, স্কুলগুলোতে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি তৈরি হলে তা তো নস্যাৎ হবেই, এমনকি যে সভ্যতা নিয়ে আমাদের এত গর্ব তাও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।


শিক্ষাবিদদের কথা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের প্রথমে যেটা বোঝাতে হবে সেটা হচ্ছে অন্য প্রাণীদের চেয়ে যে আমরা উন্নত সেটা যে শুধু আমাদের ‘হাত’ আর ‘বুদ্ধি’ আছে সে কারণে নয়। অন্য প্রাণীদের চেয়ে আমরা উন্নত, তার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করার মনোভাব ও ক্ষমতা। অন্য প্রাণীদেরও এই ক্ষমতা আছে, কিন্তু আমাদের চেয়ে অনেক কম। আমি যদি ইওভাল নোয়া হারারির কাল্পনিক উদাহরণটা দিই, তাহলে বিষয়টা আরো স্পষ্ট হবে। ধরুন, একটা নির্জন দ্বীপে আপনি একটা শিম্পাঞ্জি ও একজন মানুষকে রেখে এলেন। কয়েক দিন পর গিয়ে দেখবেন যে ওই শিম্পাঞ্জি মানুষটির চেয়ে অনেক ভালো আছে। কারণ সে মানুষটির চেয়ে অনেক ভালোভাবে নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে। আপনি যদি এরপর ১০টি শিম্পাঞ্জি আর ১০ জন মানুষ ওই দ্বীপে রেখে আসেন, কিছুদিন পর গিয়ে আপনি সেই একই চিত্র দেখবেন, শিম্পাঞ্জিগুলো মানুষদের চেয়ে ভালো আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও