কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গাদের বোঝা আর কত বইতে হবে?

বাংলা ট্রিবিউন মনিরা নাজমী জাহান প্রকাশিত: ১২ মে ২০২২, ২১:৩১

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসের এক কালো দিন। এই দিনে তামাম দুনিয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সৃষ্ট বিশাল এক মানবিক সংকট প্রত্যক্ষ করে। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) আক্রমণ করে সামরিক বাহিনীর ত্রিশটি চৌকিতে। তাদের আক্রমণের শিকার হয় মিয়ানমারের পুলিশ বাহিনীও। এই হামালার  কিছু সময়ের মধ্যেই আরসা দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। আরসার  প্রতিক্রিয়া দেওয়ার পরপরই রোহিঙ্গাদের ওপর পাল্টা সামরিক আক্রমণ করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।


মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আক্রমণে পুড়িয়ে দেওয়া হয় গ্রামের পর গ্রাম, নির্বিচারে হত্যা করা হয় রোহিঙ্গা যুবকদের, ধর্ষণের শিকার হয় রোহিঙ্গা নারী আর কিশোরীরা। বিভিন্ন জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয় ল্যান্ড-মাইন। সহিংস হামলার শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসে। স্রোতের মতো সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে প্রবেশ করে রোহিঙ্গারা। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের খোঁজে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করে।


একটি বিশেষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে চরম উদারতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু সেই উদারতার সুযোগ নিয়ে যেন বাংলাদেশের ওপর চেপে বসেছে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। প্রবেশের পর থেকে আজ অবধি প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কোনও কার্যকরী সহযোগিতার হাত আমরা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাড়াতে দেখিনি। বরং মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করে আরাকান রাজ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে বেশি আগ্রহী। যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করেছে চীন, ভারত, জাপান, এমনকি  ইইউর মতো প্রভাবশালী সংস্থাও। অথচ মিয়ানমার ভুলে যাচ্ছে, রোহিঙ্গারা স্বল্প শিক্ষিত, অদক্ষ এক জাতি। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে রোহিঙ্গারা হয়ে উঠতে পারতো স্বল্প মূল্যের শ্রমের উৎস। রোহিঙ্গারা না থাকায় এখন তাদের তুলনামূলক বেশি দামে শ্রম কিনতে হবে। অর্থাৎ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন সহযোগিতা করলে বরং মিয়ানমারের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিকট আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে পারতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও