শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: প্রথম বছর কেমন ছিল?

সমকাল আসিফ কবীর প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৪, ১১:৩৪

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে শরণার্থী জীবন থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ছোট বোন শেখ রেহানাসহ ব্রাসেলসে ছিলেন। এর পর স্বামী-সন্তান, বোনসহ জার্মানি হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। দিল্লিতে থাকা অবস্থায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন তিনি।


১২ মে ১৯৮১, সদ্য নির্বাচিত সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকায় আনতে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কোরবান আলী ও আব্দুস সামাদ আজাদ নয়াদিল্লি যান। তাঁর আগমন উপলক্ষে গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ ও রিকশা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দেশে ফেরার প্রাক্কালে ১৫ মে দিল্লিতে সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার মৌলিক পথনির্দেশের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। ... নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি তিনি ও তাঁর বোন কৃতজ্ঞ। 


১৭ মে ঢাকায় নেমে শেরেবাংলা নগরে বিপুল সংবর্ধনা-উত্তর জনসভায় আবেগমথিত ভাষায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেদিন প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে অগণন মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ১৯ মে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেন। সেখানে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় তিনি বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মোৎসর্গের প্রতিশ্রুতি দেন।


৪ জুন ঢাকায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় সাংবিধানিক প্রক্রিয়া রক্ষা ও সমুন্নত রাখায় গুরুত্ব আরোপ করেন।


৭ জুন ১৯৮১, ছয় দফা দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা সার্বভৌম সংসদ নির্বাচন দাবি করে বলেন, সেনাবাহিনীর হাতে নয়; জনগণের হাতে ক্ষমতা দিন। রাষ্ট্রপতি জিয়ার হত্যায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচার না হলে এ দেশে হত্যাকাণ্ড চলতে থাকবে।


১২ জুন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করা হয়। ১৫ জুন সপ্তাহব্যাপী কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল শুরু হয়। অবশ্য এর আগে অনুমতি না পেয়ে ৩২ নম্বর সড়কের ফুটপাতেই দোয়া ও মিলাদ আয়োজনে বাধ্য হন তিনি। ১৯ জুন বাড়িটি সাংবাদিকদের ঘুরিয়ে দেখানোর সময় শেখ হাসিনা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। 


২১ জুন ময়মনসিংহ, ২৫ জুন রাজশাহী ও ২৮ জুন খুলনায় জনসভা করেন শেখ হাসিনা। ৪ জুলাই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জিয়া হত্যায় অভিযুক্তদের প্রকাশ্য আদালতে বিচার ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগদানের আহ্বান জানান। এ ছাড়া ৩ জুন সংবিধানের ষষ্ঠ সংশোধনী উত্থাপনের প্রতিবাদ করেন।


১৭ জুলাই শেখ হাসিনা লন্ডন যাত্রা করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত কমিশনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 


৮ আগস্ট দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি করা হয়। ১০ আগস্ট রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চার দফা পূর্বশর্ত– তারিখ পেছানো, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, রাজবন্দিদের মুক্তি ও ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবিতে আওয়ামী লীগ রাজধানীতে গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল করে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও