মানুষকে ভোটমুখী করার কথা ভাবতে হবে

www.ajkerpatrika.com মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫০

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক দিবস আছে। একেকটি দিবস একেক কারণে স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ। ১৭ মে তেমনই একটি দিন। ১৯৮১ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তখন থেকে তাঁরা নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে শেখ হাসিনা যখন স্বামীর সঙ্গে জার্মানিতে যান, তখন তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলেন না। ১৯৮১ সালে যখন দেশে ফেরেন, তখন তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি। ওই বছরের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের ঐক্যের স্বার্থে দিল্লিতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়াটাও ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।


শেখ হাসিনা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন, কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভানেত্রীও নির্বাচিত হয়েছেন। অত্যন্ত কাছে থেকে দেখেছেন পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন। জেল-জুলুম-অত্যাচার-মামলা উপেক্ষা করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রাণপাত ধারাবাহিক সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও রাজনীতির একই পিচ্ছিল পথে হাঁটবেন, সেটা সম্ভবত বঙ্গবন্ধু চাননি। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই হয়তো বঙ্গবন্ধু তাঁর বিয়ে দিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে দূরের মানুষ একজন পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে। অথচ এক ট্র্যাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শেখ হাসিনাকেই পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব নিতে হলো।  


দেশের সবচেয়ে বড় এক ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা ও পটভূমিতে। তিনি যখন স্বামীর সঙ্গে বিদেশে যান, তখন তাঁর পিতা জীবিত, দেশের সরকারপ্রধান। কিন্তু তিনি যখন ফিরে আসেন, তখন পিতা নেই, মাতা নেই, ভাই নেই, নেই আরও কত আত্মীয়স্বজন। এক গভীর শূন্যতার মধ্যেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু। তাঁর এই স্বদেশে ফেরা পঁচাত্তর-পরবর্তী দেশের রাজনীতির আবহ বদলে সহায়ক ভূমিকা রেখেছিল।  


প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে। আমাদের ভাই-বোনের সম্পর্ক। তিনি আমার ‘গুড সিস্টার’ আমি তাঁর ‘ব্রাদার’।


আগেই বলেছি, ছাত্রজীবনে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মূলধারার রাজনীতিতে তাঁর আবির্ভাব বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে প্রথমে খন্দকার মোশতাক ও পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন।


রাজাকারদের পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ, রাজনীতিবিদদের চরিত্রহননসহ অসংখ্য বিতর্কিত কাজ করেন জিয়া। জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের চিরতরে দায়মুক্তির জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো কালো আইন পাস করেন। শুধু তা-ই নয়, হত্যাকারীদের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত বানানোসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান।


বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের রাজনীতির উল্টোযাত্রা শুরু হওয়ায় এবং দলীয় নেতৃত্বের সুবিধাবাদিতা ও অদূরদর্শিতার কারণে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অবস্থান যখন নড়বড়ে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দলটি যখন সাংগঠনিকভাবে দিশেহারা, ঠিক সেই সময় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও