নাকবার সেই বিপর্যয়ের মুখে ফিলিস্তিন

সমকাল মো. শাহজাহান কবীর প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৪, ১১:৩১

১৫ মে ছিল নাকবা দিবস। ফিলিস্তিনের ইতিহাসে শোকাবহ দিন। দিবসটি আল-নাকবা বা মহাবিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন ফিলিস্তিনিরা। ৭৬ বছর আগে ফিলিস্তিনিদের ওপর নেমে আসা মহাবিপর্যয় ও তাদের ঘরবাড়ি হারানোর দিন। সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে ইহুদিদের জন্য নতুন একটি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়, যার নাম রাখা হয় ইসরায়েল।


ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় ইসরায়েলিরা। ইহুদি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সেনারা ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য হত্যা-লুট-অগ্নিসংযোগ শুরু করে। প্রাণভয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাড়িঘর, সহায়-সম্পত্তি ছেড়ে পালাতে থাকেন।


দখল করে নেওয়া হয় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের প্রায় ৮০ শতাংশ। ফলে আরবদের বসবাস শুধু পশ্চিম তীর ও গাজায় সীমিত হয়ে যায়। অনিশ্চয়তার মধ্যে পতিত হন ফিলিস্তিনিরা, যা আজও চলছে। ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, নাকবার ইতিহাস যেন আরও ভয়াবহভাবে তাদের জীবনে ফিরে এসেছে। ইতোমধ্যে সাত মাস পেরিয়ে গেছে; গাজায় প্রতিদিন ইসরায়েলের হামলা চলছে। প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের, যার বেশির ভাগই নারী-শিশু।


২০২৪ সালে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখের সামনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যে বিপর্যয় ঘটিয়ে যাচ্ছে; মহাবিপর্যয় বা নাকবা যেনতার তুলনায় অনেকটাই ফ্যাকাশে। নাকবার সময় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে আর কখনোই নিজেদের ভূখণ্ডে ফিরতে দেওয়া হয়নি।


নাকবার সময়ের অভিজ্ঞতা থাকায় এখন ফিলিস্তিনি অনেকেই ভয় পাচ্ছেন– একবার যদি গাজা থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়, আর কখনোই তাদের নিজ ভূমি, ঘরবাড়িতে ফিরতে দেওয়া হবে না। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ফলে গাজায় বসবাস করাও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।


গত সাত মাসের যুদ্ধে গাজায় প্রায় ১৭ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু। এটি ফিলিস্তিনি মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার মুখে কেউ একবার, কেউবা একাধিকবার জায়গা বদল করেছেন। নিরাপদ আশ্রয় তাদের কাছে অধরাই। নাকবার সময় যত মানুষ ঘর হারিয়েছিলেন, এবারের সংখ্যা এর থেকে দ্বিগুণেরও বেশি।


নাকবার পর গত ৭৬ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ইসরায়েলিরা। ফিলিস্তিনিরা কোন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবে, কোথায় ভ্রমণ করতে পারবে, কী পরিমাণ সম্পদ রাখতে পারবে এবং কোথায় বাড়ি তৈরি করতে পারবে– সবই নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও