কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিকল্প তহবিল

কালের কণ্ঠ নিরঞ্জন রায় প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩৬

আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। সেই বাজেট প্রস্তুতির কাজ বেশ জোরেশোরেই শুরু হয়েছে। কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে বাজেট দিয়ে আসছে তাতে প্রতিবছরই এই জাতীয় বাজেট নিয়ে এক ধরনের বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মেগাপ্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কিভাবে এগিয়ে চলেছে, নতুন কোন কোন মেগাপ্রকল্পের কাজ শুরু হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী নতুন বরাদ্দ আসছে ইত্যাদি বিষয় দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহের জায়গা করে নিয়েছে।


অবশ্য সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কাও থাকে। বাজেট প্রস্তুত সরকারের নিয়মিত ও গতানুগতিক কাজ মনে হলেও কয়েক বছর ধরে এই কাজটি এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে দুই বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে সরকারকে বাজেট বরাদ্দ দিতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। একদিকে করোনার কারণে মাত্রাতিরিক্ত অনির্ধারিত ব্যয়, জান-মাল রক্ষা করা এবং একই সঙ্গে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গিয়ে সরকারকে যেভাবে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হয়েছে তা এককথায় অসম্ভবকে সম্ভব করার শামিল। এর মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যা বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতিই বদলে দিতে শুরু করেছে। এক অনিশ্চিত বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যে সরকারকে এই বছর বাজেট দিতে হবে। ফলে কাজটা যে এবার অনেক বেশি কঠিন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


আমাদের জাতীয় বাজেটের সব সময়ই দুটি দিক থাকে। একটি রাজস্ব বাজেট এবং আরেকটি অংশ হচ্ছে ক্যাপিটাল বা মূলধন বাজেট। অতীতে সব সময়ই দেখা গেছে, রাজস্ব বাজেটে কিছুটা হলেও উদ্বৃত্ত থাকে; কিন্তু মূলধন বাজেটে সব সময়ই থাকে ঘাটতি, ফলে সার্বিকভাবে একটি ঘাটতি বাজেট হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়। এর কারণ বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ থাকে এই মূলধন বাজেটে, যা কখনোই নিজস্ব অর্থায়নে করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর সব দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের বৃহৎ একটি অংশ সংগ্রহ করতে হয় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে। তাই বাংলাদেশও এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না—এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো নির্মাণের উদ্দেশ্যে অনেক মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং এসব প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।


দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে আরো নতুন নতুন মেগাপ্রকল্প গ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে, আগামী দিনে তাও অনস্বীকার্য। এসব কারণে বর্তমান সরকারের বাজেটের আকার একদিকে যেমন বাড়তে থাকবে, অন্যদিকে তেমনি বাজেট ঘাটতির পরিমাণও যে বৃদ্ধি পাবে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। আর এই ঘাটতি মেটাতে গিয়ে সরকারকে যে অধিক মাত্রায় ঋণ করতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর এখানেই এবারের জাতীয় বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত সরকার বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় সূত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। এ বছর এই দুই খাত থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারকে যথেষ্ট মুনশিয়ানার পরিচয় দিতে হবে এবং সর্বাধিক হিসাব-নিকাশ করে অগ্রসর হতে হবে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও