You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে, প্রস্তুতি কি বাড়ছে?

বাংলাদেশে ২০০০ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরু হয় এবং এরপর থেকে প্রতি বছরই কিছু না কিছু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে ২০২৩ সালে এই রোগ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। চলতি বছরেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং সরকারিভাবে ৪০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।

গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ, কারণ অনেকেই বাসায় বা অনিবন্ধিত ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের তথ্য সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয় না। এই পরিসংখ্যানগুলো এক গভীর সংকটের দিকেই ইঙ্গিত করছে, যা যদি এখনই সমাধানে না আনা যায়, তাহলে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

ডেঙ্গু কীভাবে ছড়ায়?

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা Aedes aegypti এবং Aedes albopictus নামক এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশাগুলো সাধারণত সকালে ও বিকেলে কামড়ালেও সারা দিন ও রাতে কামড়াতে পারে। তারা স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ মশা জন্মায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রতিটি জেলায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্দেশক ব্রেটো ইনডেক্স ২০-এর ওপরে, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০-এর ওপরে ইনডেক্স থাকা মানেই সেখানে ডেঙ্গু বিস্তারের উচ্চ ঝুঁকি।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা

বর্তমানে বরিশাল বিভাগ, বিশেষ করে বরগুনা ও বরিশাল জেলা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের গবেষণা ফোরকাস্টিং মডেল অনুযায়ী, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর ও মাদারীপুরে ডেঙ্গু ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করতে পারে।

মে মাসের তুলনায় জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বৃদ্ধি এই আশঙ্কাকে আরও ঘনীভূত করেছে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব জ্যামিতিক হারে বেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

ডেঙ্গুর বিস্তারের কারণ

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ যে হারে বেড়ে চলেছে, তা আর কেবল একটি মৌসুমি রোগ হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটি একটি জটিল ও বহুমাত্রিক জনস্বাস্থ্য সংকটে রূপ নিয়েছে। ডেঙ্গুর বিস্তারের পেছনে একাধিক পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত কারণ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো অপরিকল্পিত নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যার ঘনত্ব, ও নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন।

দেশের শহরাঞ্চলে বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের মতো এলাকায় অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজের ফলে তৈরি হচ্ছে মশার প্রজননের আদর্শ পরিবেশ। নির্মাণাধীন ভবনে খোলা ড্রাম, বালতি, পানির ট্যাংক কিংবা পরিত্যক্ত ভবনে দিনের পর দিন জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেখানে অনায়াসে এডিস মশা বংশবিস্তার করে।

বহুতল ভবন গুলোর বেজমেন্টে গাড়ির পার্কিং এবং গাড়ি ধোয়ার জায়গায় সৃষ্টি হচ্ছে মশার আদর্শ প্রজনন স্থল। কিছু কিছু এলাকাতে পানির সংকট থাকার কারণে বৃষ্টি বা সাপ্লাইয়ের পানি ড্রাম, বালতি এবং অন্যান্য পাত্রে ধরে রেখে নাগরিকরা সৃষ্টি করছে মশার অনন্য বাসস্থান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন