চাপে পড়ছে রিজার্ভ
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে হঠাৎ বিপর্যয় দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকের। কোনো না কোনোভাবে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হলো বাংলাদেশ অর্থনীতিতে কেমন আছে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। সেখান থেকে শিগগির রিটার্ন আসবে। কিন্তু চোখ রাঙাচ্ছে মূল্যস্ফীতি। তাহলে কোন দিকে যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি–এসব নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীব। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম
আজকের পত্রিকা: দেশের অর্থনীতি কেমন যাচ্ছে বলে মনে করেন?
শাহ মো. আহসান হাবীব: আমরা এখন কোভিড-পরবর্তী সময়ের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আমরা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অনেকটাই সক্ষম হয়েছি। মূল্যস্ফীতি সারা পৃথিবীতে একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। আমরাও মূল্যস্ফীতির আঁচটা টের পাচ্ছি। আবার একটা অনিশ্চয়তা আছে। কারণ, কোভিড যেকোনো সময় পুনরায় সারা পৃথিবীর অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। এ ছাড়া যে জায়গাটায় সচেতন হওয়া দরকার, তা হলো আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে একটা চাপ এসেছে কারেন্সির ওপর।
আজকের পত্রিকা: আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া কি কোনো অশনিসংকেত দিচ্ছে?
শাহ মো. আহসান হাবীব: আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ মোটামুটি ভালো। যদিও আমদানি ব্যয় সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ কমছে। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আগে যেখানে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ ছিল। এখন আমাদের রিজার্ভ যে অবস্থায় আছে, তা যে খুব বেশি সময় কাভার করবে, এটা বলছি না। তবে এখন আমরা এমন একটা অবস্থায় আছি, যেটা মনিটর করা প্রয়োজন। কারণ, রিজার্ভের ওপর চাপ আছে।