কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হত্যার চেয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি!

জাগো নিউজ ২৪ লীনা পারভীন প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২, ১০:০২

এইতো কিছুদিন আগে ময়মনসিংহের এক স্কুল ছাত্রী ফেসবুকে সুইসাইডাল নোট লিখে আত্মহত্যা করলো। সেখানে সে তার বাবা মা ও পরিবারের নিয়ম শাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এর আগে ফেসবুকের লাইভে এসে গুলি করে আত্মহত্যা করলো একজন ব্যবসায়ী। এ ঘটনাগুলো আমাদেরকে বিচলিত করছে।


আমি একজন মা, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া দুটি সন্তানের মা আমি। এই বয়সের ছেলেমেয়েরা কী ভাবে বা কোন লাইনে ভাবতে পছন্দ করে তা নিয়ে নিজের মত কিছু পড়াশুনা করি আমি। বুঝার চেষ্টা করি। পরিসংখ্যান বলছে আমাদের দেশে হত্যার চেয়ে আত্মত্যার সংখ্যা বেড়েছে আশংকাজনক হারে।


সংবাদটি আমাকে ভীত করেছে। আমাদের কর্তা ব্যক্তিদের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে কিনা জানিনা তবে সমাজে বাড়তে থাকা এই প্রবণতা নিয়ে আমি অত্যন্ত চিন্তিত। অতীতে আমরা ভয়ে থাকতাম কখন রাস্তাঘাটে কে কাকে খুন করে ফেলছে এমন সংবাদ নিয়ে। অথচ পত্রিকায় প্রকাশ কেবল রাজধানীতেই ২০২০ সালে খুন হয়েছে ২১৯ টি আর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৬১৭ টি। ২০২১ সালে ঢাকা মহানগরীতে খুন হয়েছে ১৬৬ জন আর আত্মহত্যা করেছে ৬৯৫ জন। তারমানে দাঁড়াচ্ছে, খুনের তুলনায় প্রায় চারগুন বেড়েছে আত্মখুনের সংখ্যা।


কেন মানুষ এমন খুনি হয়ে উঠছে যখন নিজেই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে? সমাজে এর প্রভাব কেমন পড়ছে? এর কারণ নিয়ে সমাজ বিজ্ঞানীরা বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা যে যার মত করে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কিন্তু আমি ভাবছি এর প্রভাব কতটা নেতিবাচক হয়ে পড়ছে। এই যে ময়মনসিংহের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি লিখেছে সে তিন বছর ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলো মরে যাবার এবং পরিবারের কোন কিছু তার পছন্দ অনুযায়ী হচ্ছে না বলে সে নিজের জীবনটাই দিয়ে দেয়ার মত সাহস করলো।


আমি মেয়েটির ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেন্টগুলো অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। সেখানে তার সমবয়সী অনেক কিশোর-কিশোরীরাই দেখলাম তাদের ভিতরে থাকা কষ্ট প্রকাশ করছে। কেউবা আবার বলেছে সাহস নেই তাই আত্মহত্যা করতে পারছে না কিন্তু মেনেও নিতে পারছে না। আবার কেউ কেউ লিখেছে তারাও হয়তো এমনটাই করবে কোন একদিন।


ইদানিং আবার পড়াশুনায় হতাশা থেকেও আত্মহত্যার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। আছে পছন্দমত চাকরি না পেয়ে নিজেকে মেরে ফেলার ঘটনাও। করোনা আসার পর গোটা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের দেশে আলোচনা নাই বললেই চলে। করোনার আড়াই বছরে বাসায় বসে থেকে থেকে ছেলেমেয়েরা হতাশার রাস্তাতে এগিয়ে গেছে অনেক পথ। বন্ধুবান্ধবদের সাথে দূরত্ব, পিতামাতার শাসনে ২৪ ঘন্টা থাকা ইত্যাদি কারণ আমাদের সন্তানদেরকে আসলেই দিকশূন্য করে দিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও