কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কূটনৈতিক উদ্যোগেই ইউক্রেন সমস্যার সমাধান হবে

কালের কণ্ঠ ইউক্রেন এ কে এম আতিকুর রহমান প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২, ১০:২৭

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ইউক্রেন অভিযানের এক মাস পেরিয়ে গেছে। তিনি ইউক্রেন আক্রমণের কারণ হিসেবে ওই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পীড়ন ও গণহত্যার শিকার হওয়া মানুষগুলোকে রক্ষা এবং ইউক্রেনকে ‘অসামরিকীকরণ ও নাৎসিকরণমুক্ত’ করার কথা উল্লেখ করেছিলেন। আমরা জানি, এ সবই ছিল পুতিনের মনগড়া কথা। তাঁর ছিল অন্য এক আশঙ্কা, নিরাপত্তার আশঙ্কা ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের সম্ভাবনা ঘিরে।


এবার আর অপেক্ষা করার মতো সময় তাঁর হাতে ছিল না। তাঁর সেই আশঙ্কার ফলে ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার হলো। ইউক্রেনকে আক্রমণ করা হলো এবং সেই ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া যুদ্ধ এখনো ইউক্রেনজুড়েই চলছে।


প্রাপ্ত তথ্য মতে, উভয় পক্ষের সামরিক হতাহতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হাজারের ওপর ইউক্রেনীয় বেসামরিক লোক, কয়েক শ শিশু এবং কয়েকজন সাংবাদিকের নিহত হওয়ার কথাও জানা গেছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে। এমনকি বন্দরনগর মারিওপোল থেকে হাজার হাজার বেসামরিক লোককে রাশিয়ায় জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার কথাও উঠেছে। তবে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ইউক্রেন শরণার্থী রয়েছে পোল্যান্ডে। হয়তো এ কারণেই কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন পোল্যান্ড সফরে যান এবং সেখানকার বিভিন্ন ইউক্রেন শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন, শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।


ইউক্রেনের প্রতি প্রথম থেকেই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দরদ উথলে উঠলেও রাশিয়াকে দেখে নেওয়ার হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই সরে গেছে। রাশিয়াকে অর্থনৈতিকসহ কিছু নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেনকে হয়তো কিছু অস্ত্র বা গোলাবারুদ সরবরাহ করা এবং পুতিনকে সরিয়ে দেওয়াসহ নানা প্রকারের হুমকি-ধমকি দেওয়ার মধ্যেই বাইডেন সীমাবদ্ধ রয়েছেন। এরই মধ্যে আবার ওয়ারশে ইউক্রেনের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেন বৈঠকও করেছেন। এসব বৈঠক আর হুমকি-ধমকি কি আদৌ ইউক্রেনকে বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণে কোনো আলো দেখাতে পারছে? নাকি উল্টোটাই অর্থাৎ অন্ধকারের গভীরে টেনে নিচ্ছে? তবে এ কথা সত্য যে ইউরোপের অনেক দেশেই আমেরিকার অস্ত্র বিক্রি বেড়ে চলছে। আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসার জন্যই কি তাহলে বাইডেনের এত লাফঝাঁপ? আর যদি যুদ্ধটা একটু দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গড়িয়ে নেওয়া যায় অথবা যুদ্ধের আশঙ্কাটা জিইয়ে রাখা যায়, তাহলে বাইডেনের অস্ত্রের ব্যবসা ভালোই জমবে। করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছিল তা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। আসলে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে বা ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিচ্ছে, তা কি ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য যথেষ্ট?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও