কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ওই গল্পেই রয়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ

যুগান্তর জাহেদ উর রহমান প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২২, ১০:৩১

ইউক্রেন সংকট বাংলাদেশের মিডিয়ার তো বটেই, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের মনোযোগের কেন্দ্রে আছে। এ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসাবে এটি দেখা বেশ আনন্দের যে, আমাদের দেশের মানুষ একটি বৈশ্বিক সংকটে তাদের মতো করে অবস্থান ব্যক্ত করছে। বিশ্বায়নের এ যুগে বহু দূরের কোনো ঘটনার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়তেই পারে। ইউক্রেন সংকটের মতো একটি বিরাট ব্যাপার, যেটি বদলে দিতে পারে পুরো বিশ্বব্যবস্থা, সেটার প্রভাব তো আমাদের দেশের ওপর পড়বেই। কিন্তু গত কিছুদিনে এ তুমুল আলোচনার মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের অকল্পনীয় মূল্যবৃদ্ধি।


এ দেশে মাঝেমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যায়। এর সঙ্গে আমাদের এক ধরনের অভ্যস্ততা আছে। কোনো কিছুর প্রতিকার করা না গেলে অভ্যস্ত হওয়া ছাড়া আর উপায়ইবা কী? প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ দাম বৃদ্ধির একটি প্যাটার্ন আছে। হঠাৎ করে দাম বাড়তে শুরু করে অনেক উঁচুতে উঠে যাবে সেই দাম। সেই মূল্যে থাকবে বেশ কিছুদিন, তারপর কমে আসবে খানিকটা, যদিও আর কখনো যাবে না আগের জায়গায়।


এটুকু কাণ্ডজ্ঞান এ দেশের মানুষের আছে যে, যেসব পণ্যের বড় কিংবা প্রধান অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোর দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের একটা প্রভাব থাকবেই। ব্যবসায়ীরা দাতব্য সেবা দেন না, ব্যবসা করেন, তাই তারা বেশি দামে আমদানিকৃত পণ্য বেশি দামেই বিক্রি করবেন। এটি বুঝি আমরা, নিজেরা ব্যবসায়ী হলেও আমরাও সেটাই করতাম। সমস্যাটা অন্য জায়গায়।


অবাধ তথ্যপ্রবাহের এ যুগে আমরা খুব সহজেই জেনে যেতে পারি বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম আসলে কখন বেড়েছে এবং কতটুকু বেড়েছে। একটু দূরের দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য দেশে এলে বাজারজাত করতে কম-বেশি দুই মাস সময় লাগে। কিন্তু এ কথা এখন সাধারণ নাগরিকরা খুব ভালোভাবে জানেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় এ দেশে। তাতেও শেষ হয় না জনগণের ভোগান্তি।


মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে দাম যতটুকু বাড়ার কথা দেশে, বাড়ে তার চেয়ে অনেক বেশি। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য যখন কমে আসে, তখন তার প্রভাব দেশে পড়তে লেগে যায় অনেক দীর্ঘ সময়, আমাদের জানানো হয় এখনকার বাজারে থাকা পণ্য কেনা হয়েছিল ‘বাড়তি’ দামে। একইসঙ্গে এটিও আমরা জানি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাসের কারণে যতটা কমার কথা, দেশের দাম কমে তার চেয়ে অনেক কম। বাজারে দোকানদারকে যখন একজন ক্রেতা জিজ্ঞেস করছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তো পণ্যের দাম কমেছে, তোমার দোকানে দাম এখনো বেশি কেন, এর জবাবে দোকানি বলছে, ‘কম পাইলে আন্তর্জাতিক বাজারেই যান’। এমন কৌতুক করা কার্টুন আমরা দেশের পত্রিকায় দেখেছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও