কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তৃতীয় মহাযুদ্ধ হবে কি?

যুগান্তর ইউক্রেন আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২২, ০৯:৫০

ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার সময় থেকেই বিশ্বের পণ্ডিতদের মধ্যে একটা গবেষণা শুরু হয়েছিল তৃতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হলো কিনা। কারণ যুদ্ধটি যদিও বলা হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে, আসলে যুদ্ধটা আমেরিকা তথা ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে। ন্যাটোর হাতে যেমন আণবিক মারণাস্ত্র আছে, তেমনি রাশিয়ার হাতেও আছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো আহাম্মক নন। রাশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং সামরিক শক্তির ভারসাম্য তৈরি করার পর পুতিন ইউক্রেনে হাত দিয়েছেন। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যতই হাঁকডাক করুন, দেশটি আক্রমণে সাহস করেননি। কারণ উত্তর কোরিয়ার হাতেও আণবিক অস্ত্র আছে। তাই তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিমের সঙ্গে সিঙ্গাপুর বৈঠকে আপস করতে বাধ্য হয়েছেন। উত্তর কোরিয়া আক্রমণে সাহস করেননি। আফগানিস্তান থেকেও পরাজয়ের কলঙ্ক কপালে নিয়ে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের চুক্তি করেছেন তিনি। আর প্রেসিডেন্ট বাইডেন তালেবানদের হাতে পূর্ণ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েই আফগানিস্তান থেকে পলায়ন করেছেন।


ইউক্রেনে রাশিয়া প্রত্যক্ষভাবে হামলা চালায়নি। ন্যাটোর অস্ত্র, সেনাবাহিনী ইউক্রেনে মোতায়েন করে রাশিয়ার প্রতি একটি হুমকি তৈরি করেছিল। রাশিয়া সেই হুমকির জবাব দিয়েছে। এখন শান্তি আলোচনার নামে আমেরিকা মুখরক্ষার চেষ্টা করছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুঘণ্টা ধরে টেলিফোনে আলাপ করেছেন এবং কাতর আবেদন জানিয়েছেন, চীন যেন রাশিয়াকে সাহায্য না করে। গত তিন দিন ধরে পশ্চিমা কাগজে আর যুদ্ধের খবর নেই। আছে ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বরতার খবর, যার অধিকাংশই বানানো। ইরাক যুদ্ধে যেমন মিথ্যা ও বানোয়াট খবর তৈরি করা হয়েছিল, ইউক্রেনেও তা করা হচ্ছে। আমেরিকা এখন যেটা করবে, তা হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করা। তাতেও তারা সফল হবে, সেই সম্ভাবনা কম। ইরাক রাশিয়ার তুলনায় অনেক দুর্বল দেশ। তা সত্ত্বেও বারো বছর ধরে ইরাকের বিরুদ্ধে পশ্চিমা জগৎ অর্থনৈতিক অবরোধ চালিয়ে তাকে কাবু করতে পারেনি। এ ব্যর্থতার জন্যই তারা সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ইরাক আক্রমণ করে এবং দেশটি ধ্বংস করে।


আফগানিস্তানে আমেরিকা তার সবচেয়ে কঠিন মারণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে। তালেবানরা আফগানিস্তানে কোনো সংগঠিত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারেনি। তা-ও মার্কিন হামলা তারা ব্যর্থ করেছে। পুতিন এক্ষেত্রে সামরিক এবং অর্থনৈতিক দুক্ষেত্রেই রাশিয়াকে দুর্ভেদ্য করে তুলেছেন। পশ্চিমা জগৎ পঞ্চাশ বছর অর্থনৈতিক অবরোধ চালিয়েও রাশিয়াকে কাবু করতে পারবে না। নয়াচীনকেও এমনি করে তারা অর্থনৈতিক অবরোধ দ্বারা পরাজিত করতে চেয়েছিলেন। দেখা গেল নয়াচীন পরাজিত হয়নি। পরাজিত হয়েছে পশ্চিমা শক্তি। এ অর্থনৈতিক অবরোধ নাটকেও পশ্চিমাদের ভণ্ডামি লক্ষ করা যায়। পোল্যান্ড যখন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ছিল, তখন সেই দেশটির মাধ্যমে আমেরিকার বড় বড় পুঁজিপতিরা গোপনে চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। নিজেদের অর্থনৈতিক অবরোধ নিজেরাই ভঙ্গ করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও