কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যে কারণে টিসিবির ট্রাকের সংখ্যা মাত্র ৪০০

প্রথম আলো জাহেদ উর রহমান প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২২, ০৭:৩৪

ইরুন্নেসার পরিবারের সদস্যসংখ্যা কতজন, জানি না। যদি ধরে নিই এ সংখ্যা ৫, তাহলে ইরুন্নেসার পরিবারের মাসিক আয় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৯০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁর পরিবারের আয় এর আশপাশে নয়, তার প্রমাণ ২০০ বা ২৫০ টাকা সাশ্রয় করার জন্য উচ্চ রক্তচাপের রোগী ইরুন্নেসার টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা। কিন্তু তিনি পারেননি ‘সামান্য’ কয়টা টাকা বাঁচাতে। ‘সকালে লাইনে, বিকেলে খালি হাতে ফেরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ইরুন্নেসার ঘটনাটি এ রকম আরও শত শত ঘটনার একটি, যেটি এ মুহূর্তে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে তীব্র বেগে ধাবমান’ বাংলাদেশের নিত্যকার গল্প।


যাঁদের কিছুটা আগ্রহ আছে দেশের অবস্থা বোঝার, যাঁদের কিছুটা চোখ-কান খোলা রাখার অভ্যাস আছে, তাঁরা এ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় টিসিবির ট্রাকের লাইনের দৈর্ঘ্য দ্রুত বাড়তে দেখেছেন কয়েক মাস ধরেই। দেখেছেন, ট্রাক আসার আগে থেকেই অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন পণ্য পাবেন বলে। আর আজকের সামাজিক মাধ্যমের যুগে প্রত্যেকেই এখন নাগরিক সাংবাদিক, তাই ট্রাকের পেছনে মানুষের উদ্‌ভ্রান্তের মতো দৌড় দেওয়া, লাইনে মানুষের নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া—এসব আমরা দেখছি প্রতিনিয়ত।


ট্রাকের পেছনে লাইনে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো দীর্ঘদিন থেকে মধ্যবিত্তদেরও দেখতে পাচ্ছিল। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কেমন হাঁসফাঁস করছেন, তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অবশ্য মধ্যবিত্তের টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো এখন এতটাই বেড়ে গেছে যে শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রীও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, ভালো জামাকাপড় পরা মানুষকেও টিসিবির ট্রাকের লাইনে দেখা যাচ্ছে। এখন টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রি আবার চালু করা হলেও আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, গত মাসের শেষে টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখনো ট্রাকের পেছনে মানুষের লাইনের দৈর্ঘ্য কমেনি, বরং বাড়ছিল। ফলে প্রশ্ন আসে, কেন তখন ট্রাকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল?


এ সরকারের দেওয়া ডেটার বিশ্বাসযোগ্যতার মান অতি নিম্ন পর্যায়ের, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। নিজের স্বার্থের পক্ষে সরকারের ডেটার বিকৃতি নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা আছে। তবুও তর্কের খাতিরে ধরে নিই, টিসিবির ট্রাকের ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া তথ্যটি সঠিক—সারা দেশে ৪০০ ট্রাক পণ্য বিক্রি করছে। প্রতিটি ট্রাকে ২৫০ জনকে দেওয়ার মতো পণ্য থাকে। অর্থাৎ টিসিবির সব ট্রাক থেকে প্রতিদিন এক লাখ মানুষকে পণ্য দেওয়া সম্ভব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও