কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো কতটুকু কার্যকর?

www.ajkerpatrika.com আবু তাহের খান প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৯

নানা বোধগম্য কারণে জাতীয় সংসদের কর্মকাণ্ডের প্রতি মানুষের আগ্রহ বর্তমানে প্রায় নেই বললেই চলে। এদিকে আগামী সাধারণ নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আলোচনা সরব হয়ে ওঠায় সেই আগ্রহ এখন প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তারপরও সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদই যেহেতু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি, সেহেতু সংসদীয় কর্মকাণ্ডের মান যা-ই হোক না কেন একে পরিপূর্ণভাবে উপেক্ষা করার কোনোই উপায় নেই। আর সে উপলব্ধি থেকেই জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলোর কর্মকাণ্ডের ওপর সম্প্রতি প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সূত্রে বিষয়টি নিয়ে খানিকটা আলোকপাত করার চেষ্টা।


প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২১ সালে জাতীয় সংসদের ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে একটিমাত্র কমিটি নিয়মিত বৈঠক করেছে এবং ৩১টি কমিটির বৈঠকের সংখ্যা শূন্য থেকে সর্বোচ্চ ৬টি। উল্লিখিত প্রতিবেদনে কমিটিওয়ারি বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও সেসব নিয়ে অনুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণে না গিয়ে এখানে সংক্ষেপে শুধু এটুকুই বলা যেতে পারে, এ সময়ে সংসদীয় কমিটিগুলো একেবারেই কার্যকর ছিল না। তবে এর মধ্যেও সর্বোচ্চ ১১টি বৈঠক করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে ইচ্ছা থাকলে অন্যদের পক্ষেও তা সম্ভব ছিল। উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী প্রতিটি স্থায়ী কমিটিরই প্রতি মাসে ন্যূনতম একটি বৈঠক আহ্বানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উল্লেখ্য, এসব বৈঠকে যোগদানের জন্য সাংসদেরা নির্ধারিত হারে সম্মানী ভাতা ও সংসদীয় এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ ভবনে আসা-যাওয়া বাবদ যাতায়াত ভাতা পেয়ে থাকেন (অবশ্য যাতায়াতের জন্য তাঁরা শুল্কমুক্ত গাড়ি, চালক, জ্বালানি ইত্যাদি নিয়মিতই পেয়ে থাকেন)।


সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ এবং এর কমিটিগুলোই বস্তুত সরকারের প্রাণ, যেখানে বিরোধীদলীয় সাংসদেরাও এই প্রক্রিয়ার অংশ। এ ব্যবস্থায় একটি মন্ত্রিপরিষদ থাকলেও মন্ত্রণালয়গুলোর কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য মন্ত্রী একাই শুধু নির্বাচিত রাজনৈতিক প্রতিনিধি নন; বরং প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে সরকারি ও বিরোধীদলীয় সাংসদদের সমন্বয়ে গঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং এ কমিটিগুলোর সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সাংসদদের থাকার রীতিও যথেষ্টই রয়েছে। ফলে সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় শুধু সর্বাধিক বা নিরঙ্কুশ সংখ্যক আসনে বিজয়ী দল বা জোটই সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছেন—এমনটি বলা যাবে না। বস্তুত জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের প্রত্যেক সদস্যই এই ব্যবস্থায় সরকারের অংশ।


আনুষ্ঠানিকভাবে এ রকম একটি সংসদীয় সরকারব্যবস্থা দেশে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মধ্যে দীর্ঘ ১২ মাসে একটিমাত্র কমিটি ছাড়া বাকি কোনো কমিটিই কেন নিয়মিত বৈঠক করতে পারল না বা আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১৯টি কমিটিই কেন প্রায় পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে থাকল, তা একটি গুরুতর প্রশ্ন বৈকি! সংসদীয় কমিটিগুলোই যদি কার্যকর না থাকে, তাহলে জাতীয় সংসদ কার্যকর থাকে কেমন করে? তদুপরি সংসদীয় কমিটিগুলোর এই অকার্যকর অবস্থাই যদি বহাল থাকে, তাহলে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থার সঙ্গে সংসদীয় সরকারব্যবস্থার পার্থক্য করা যাবে কীভাবে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও