‘বস্তিতে আগুন লাগবে’: নগরের ওপর সাধারণের অধিকার

বাংলা ট্রিবিউন মাহমুদুল সুমন প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২২, ২০:২৯

পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় কেবল পুঁজির জন্য নগর কীভাবে বারবার পুনর্নির্মিত হয় তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ইকোনমিক জিওগ্রাফার ডেভিড হার্ভি বলেছেন, দুনিয়ার মেট্রোপলিটনগুলোই হচ্ছে আগামী দিনের শ্রেণি-সংগ্রামের ক্ষেত্র। এই সংগ্রাম বুঝতে নগরের ওপর অধিকার বিষয়ে একটি ধারণাও তিনি দিয়েছেন। নিজেকে ও নিজেদের শহরকে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলার স্বাধীনতার প্রশ্ন মানবাধিকারেরই এক অবহেলিত প্রশ্ন বলে তিনি মনে করেন। হার্ভি স্থানিক অসমতা বা স্পেশিয়াল ইনইকুয়ালির একটি ধারণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আজকের দিনে নগরের ওপর অধিকারের ধারণাটি যেভাবে গঠিত, তাতে সুবিধা হয় কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এলিটদের, যারা নিজেদের শ্রেণি-স্বার্থের ঊর্ধ্বে যেতে পারে না। আবার তৃতীয় বিশ্বের মেট্রোপলিটনগুলো নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মারসেলো বালবো বলেছেন, শহরগুলো এখন ভাগ হচ্ছে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন অংশে, যেন এগুলো একেকটা ‘ক্ষুদ্র রাষ্ট্র’! ধনী এলাকাগুলোতে সব ধরনের সুবিধাই থাকে, আর এর পাশেই থাকে ‘অবৈধ’ সেটেলমেন্ট। প্রত্যেকেই আবার স্বয়ম্ভূ!


আজকের ঢাকার দিকে দিকে তাকালে এসব চিন্তার কিছু প্রতিফলন পাওয়া যাবে। ঢাকার কোনও কোনও এলাকায় রয়েছে চকচকে রাস্তা, কিন্তু তার আড়ালেই বস্তি, যেখানে জীবনযাপন করে ইনফরমাল ইকোনমির মানুষেরা, যারা আবার শ্রমশক্তির বড় অংশ। গড়পরতা যাদের আমরা শ্রমজীবী মানুষ বলি সেই শ্রমজীবী মানুষের জন্য ভাসানটেকে একটা সরকারি আবাসন প্রকল্প হয়েছিল, কিন্তু কিছু গবেষণা দেখাচ্ছে সেখানে শ্রমজীবী মানুষের জায়গা হয়নি। সরকারি লোকজনের দুর্নীতির কবলে পড়ে সেই প্রকল্প গেছে পয়সাওয়ালা নেতাদের পেটে। পশ্চিমা মেট্রোপলিটন শহরগুলোর কায়দায় আমাদের শহরের ‘উন্নয়ন’ এখন জেন্ট্রিফিকেশনের মধ্য দিয়ে ঘটছে। মানে বাইরে দিয়ে ফিটফাট, মধ্যবিত্তের চোখের আরাম, উজ্জ্বল আলো, ফ্যান্সি খাবার দোকানের সারি, সবই শহুরে মধ্যবিত্তের জন্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও