দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে না
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিল। তখন সবাই বলেছিল, ছাত্রছাত্রীরা চোখ খুলে দিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, কিছুদিন পর সবই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। রাস্তায় মৃত্যু বন্ধ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা আবার রাস্তায় ফিরে এল। তারা শুধু যে হাফ ভাড়ার (অর্ধেক ভাড়া) জন্য এবার আন্দোলন শুরু করেছিল তা নয়, বরং পুরো সড়ক অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র যদি এই বিশৃঙ্খলা বন্ধ না করে, তাহলে এর সমাধান পাওয়া কঠিন। দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে না। সময় লাগলেও পরিবর্তন করতে হবেই। পরিবহন সেক্টরে অব্যবস্থাপনার জন্য মূলত দায়ী যারা পরিবহন খাতের নেতৃত্বে রয়েছে। এই নেতৃত্ব এতটাই উগ্র যে তাদের সংগঠনের মানুষগুলোকেও উগ্র বানাচ্ছে। পরিবহনচালক, সহকারীদের যেখানে ধৈর্যশীল হওয়া দরকার, সেখানে তাদের উগ্রতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তারা সরকারকে পর্যন্ত জিম্মি করেছে। সরকারের সঙ্গে থেকেও তারা পরিবহন ধর্মঘট করেছে।